আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের ভয়াবহ দাবনলে অন্তত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার সার্ভিসের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সিএনএন।
লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার সার্ভিস বিভাগের প্রধান অ্যান্থনি ম্যারোনি জানিয়েছেন, পালিসেডস ও ইটন এলাকায় দুটি দাবানলে ৭ হাজারের বেশি এলাকা পুড়ি গেছে। তিনি আরও জানান, ইটন এলাকার আগুনে দুটি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে এবং পালিসেডসের আগুনে ‘একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ আহত হয়েছেন’।
২৪ ঘন্টা পার হলেও লস অ্যাঞ্জেলেস দাবনল নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বরং আরও অবনতি হয়েছে। এরই মধ্যে এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি-গাড়ি ফেলেই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই পরিস্থিতিকে হলিউডের সিনেমার দৃশ্যের সাথে তুলনা করছেন।
বনের অন্যান্য আগুনের ঘটনা মতোই মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারির) লস অ্যাঞ্জেলেসে আগুন লাগে। লাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা ঝোড়ো বাতাসের কারণে ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সেই আগুন লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের অভিজাত এলাকা প্যাসিফিক পলিসেডসের দিকে ধেয়ে আসতে থাকে।
আগুন নেভাতে ১ হাজার ৪০০ দমকলকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছেন তারা। এরপরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না আগুন।
শহরের পশ্চিমে ছোট একটি এলাকায় দাবানল শুরু হলেও মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এতে প্রায় ৭ হাজার একর এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কমপক্ষে ৩০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একজন বাসিন্দা বলেছেন যে দমকলকর্মীরা লোকজনকে তাদের গাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে।
প্যাসিফিক পলিসেডস এলাকায় জেনিফার অ্যানিস্টোন, ব্রাডলি কুপার, টম হ্যাঙ্কস, রিজ উইদারস্পুন, অ্যাডাম স্যান্ডলার, মাইকেল কিটনসহ অনেক হলিউড তারকার বাড়ি রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।