আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে সংযোগ ব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র হলো রেল ব্যবস্থা। রেল পরিষেবাকে বলা হয় ভারতের লাইফলাইন। প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ এই রেল ব্যবস্থার সাহায্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যান। খরচ কম হওয়ার পাশাপাশি আরামে ভ্রমণ করার জন্য ভারতীয় রেল ব্যাবস্থার জুড়ি নেই। আজ আমরা রেলওয়ের সাথে জড়িত এমন এক তথ্য জানাতে চলেছি যা খুব কম জনই জানে।
ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে শুরু হয় রেললাইনের স্থাপনা। তবে আজকের মডার্ন রেলওয়ের সূচনা হয় ভারতের স্বাধীনতার পর। ভারতের প্রতিটি স্টেশনের সাথেই জড়িয়ে রয়েছে কোনো না কোনো গভীর ইতিহাস। সেরকমভাবেই আজ আমরা এমন দুই স্টেশনের ব্যাপারে জানাতে চলেছি যার একদিক ভারতে আর অন্যদিক বাংলাদেশে।
আসলে প্রতিটি স্টেশনের মধ্যেই রয়েছে গভীর ইতিহাস। ভারত ভাগের আগে সারাদেশেই ছড়িয়েছিল রেল লাইন। আর দেশভাগের পর সমস্ত কিছু ভাগ হওয়ার সাথে সাথে ভাগ হয়ে যায় রেল লাইন এবং স্টেশনও। ব্রিটিশ প্রশাসক রাডক্লিফের আঁকা দাগের কারণে বিভক্ত হয়ে যায় ভারত। আর সেরকমভাবে মনু স্টেশনটি দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়।
এই মনু স্টেশনটি ত্রিপুরার ঢালাই জেলার অন্তর্গত। নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের অধীনে আসে এই স্টেশনটি। তেলিয়ামুড়া, আম্বাসা লাইনের মধ্যেই রয়েছে মনু স্টেশনটি। রেলের লামদিং ডিভিশনের অন্তর্গত এই স্টেশন। মোট ৪ খানা ট্রেন দাঁড়ায় সেখানে। বাংলা অবিভক্ত থাকার সময় লাইনে ট্রেন ছুটতো।
কিন্তু তারপর সীমানার দাগ এমনভাবে পড়ে যে, স্টেশনটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। তারফলে আজও এই মনু স্টেশনটি দুই দেশের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। যা কিনা অবিভক্ত বাংলার সবচেয়ে বড় প্রমাণ হিসেবে রয়ে গিয়েছে আজও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।