আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ২০১১ সালের পর ২০১৩ সালেও বিশ্বের দীর্ঘতম চুম্বনের রেকর্ড গড়েছিলেন থাইল্যান্ডের এক্কাচাই ও লাকসানা তিরানারাত। কিন্তু প্রেমের এমন গৌরবজনক নজিরও তাঁদের এক ঘরে আটকে রাখতে পারেনি। বুধবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট তাঁদের বিচ্ছেদের খবর দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে ‘রিপ্লিজ বিলিভ ইট অর নট’ আয়োজিত এক প্রতিযোগিতায় এক্কাচাই ও লাকসানা টানা ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ধরে চুম্বন করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছিলেন। এর আগে, ২০১১ সালে তাঁরা ৪৬ ঘণ্টা ২৪ মিনিট ধরে চুম্বন করে প্রথমবার এই রেকর্ড গড়েন।
৫৬ বছর বয়সী এক্কাচাই সম্প্রতি বিবিসি নিউজ ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের ‘উইটনেস হিস্ট্রি’ পডকাস্টে তাদের বিচ্ছেদের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সম্মান বজায় আছে এবং তিনি অর্জিত স্মৃতিগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া প্রতিযোগিতাটি শেষ হয়েছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসা দিবসে। কঠোর নিয়ম মেনে চলতে হয়েছিল প্রতিযোগীদের—চুম্বনরত অবস্থায়ই তাঁদের বাথরুম ব্যবহার করতে হতো।
এক্কাচাই জানান, ২০১১ সালে রেকর্ড গড়ার পর পরিবার ও বন্ধুরা অভিনন্দন জানালে তিনি মজার ছলে বলেছিলেন, ‘এমন কিছু করতে গেলে একটু পাগল হওয়া লাগে! সাধারণ কেউ এমন কষ্ট সহ্য করতে পারবে না।’
আরও জানা গেছে, ২০১৩ সালে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আগে লাকসানা অসুস্থতা থেকে সেরে উঠছিলেন। তাই তাঁরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দ্বিধায় ছিলেন। তবে ৫০ হাজার থাই বাত (প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা) এবং একটি হিরার আংটি পুরস্কারের প্রলোভনে তাঁরা আবারও প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন।
এর আগে, ২০১২ সালে তাঁরা রেকর্ড পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। কারণ এক্কাচাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবে ২০১৩ সালে তাঁরা ফিরে এসে পুরোনো রেকর্ড ভেঙে জয়ী হন। বিজয়ের পর এক্কাচাই বলেন, ‘আমি এতটাই ক্লান্ত ছিলাম যে আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না। আমি শুধু পানি খেতে চেয়েছিলাম এবং বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলাম।’
২০১৩ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এই বিভাগটি বন্ধ করে দেয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এবং নতুন নীতিমালার সঙ্গে মানানসই নয়। এর পরিবর্তে ‘দীর্ঘতম চুম্বন ম্যারাথন’ নামে নতুন ক্যাটাগরি চালু করা হয়। এই নিয়মে প্রতিযোগীরা প্রতি এক ঘণ্টা চুম্বনের পর পাঁচ মিনিটের বিরতি নিতে পারেন।
এর আগে অনেক প্রতিযোগী স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে এক দম্পতি ৩০ ঘণ্টার চুম্বনের পর হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০০৪ সালে আরেকজন প্রতিযোগী ৩১ ঘণ্টার চুম্বনের পর অক্সিজেন নিতে বাধ্য হন এবং ২০১১ সালে এক প্রতিযোগী মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
বর্তমানে এক্কাচাই ও লাকসানা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের এই ক্যাটাগরির সর্বশেষ বিজয়ী দম্পতি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।