স্পোর্টস ডেস্ক : নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রথম স্পেলেই দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে বিপাকে ফেলেছেন অভিষিক্ত টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। নিজের প্রথম ওভারেই ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে তুলে নেন এই বোলার। তার দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন তিনে নামা তিলক ভার্মা।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতকে ২৬৬ রানের টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খেই হারায় সাকিব আল হাসানের দল। তিন টপ অর্ডার ব্যাটারই ভারতীয় বোলারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। তবে হাল ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়।
তাওহিদ হৃদয়ের সাথে ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে সাজঘরের পথ ধরেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ৮০ রানে (৮৫ বল) ফেরেন সাকিব। এরপর ক্রিজে এসে থিতুই হতে পারেননি শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পাঁচ বলে ১ রান তুলেই শামীম রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন। ফলে আবার চাপে পড়েছে টিম টাইগার্স।
এরপর ব্যক্তিগত ৫০ রান পূর্ণ করার খানিক পরে আউট হন হৃদয়। শুরুতে চার উইকেট হারানোর ধাক্কাটা বেশ সামলে নিয়েছিল সাকিব-হৃদয় জুটি। লোয়ার অর্ডারে আবার ভাঙন, ফের চাপে পড়তে শুরু করেছে টাইগাররা। তবে শেষ দিকে আবার মারমুখী ব্যাট করে টাইগারদের রানে খাতা আরো একটু বিস্তৃত করেন নাসুম আহমেদ। ৪৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন আটে ব্যাট করতে নামা নাসুম।
শুরুতেই ছয় ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ওপেনার থেকে নাম্বার থ্রি, কারো ব্যাটই হাসেনি ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে।
টুর্নামেন্টে সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ তিন ম্যাচেই সুবিধা করতে পারেননি লিটন কুমার দাস। আজকের ম্যাচে তিনি ফিরেছেন ২ বল খেলে মাত্র ০ রানে। আর দ্বিতীয় বারের মতো টুর্নামেন্টে ওপেন করতে নামা তানজিদ হাসান আজও সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বলে ১৩ রান করে তিনিও ধরেছেন সাজঘরের পথ।
হঠাৎ দলে ডাক পাওয়া এনামুল হক বিজয়কে আজকে নামানো হয়েছিল তিন নম্বরে। তবে তিনিও ফ্লপ। বহু কারণে আলোচিত সমালোচিত এই উইকেট কিপার ব্যাটার ১১ বল খেলে মাত্র ৪ রান তুলতে পেরেছেন। পাঁচে খেলতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরেছেন ব্যক্তিগত ১৩ রানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।