আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভিসুভিয়াস পর্বতের আগ্নেয়গিরির সর্বনাশা অগ্ন্যুৎপাতে ইতালির কাম্পানিয়া অঞ্চলের আধুনিক নেপলসের কাছে ঐতিহাসিক রোমান নগরী পম্পেই পুড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। ছাই ও ঝামা পাথরের নিচে লুকিয়ে আছে প্রাচীন সভ্যতার অনেক নিদর্শন। এ কারণেই রহস্যের আধার বলা হয় এই নগরীকে। সমকাল
জানা গেছে, পম্পেইর বিভিন্ন অংশে অনেক দিন ধরে খননকাজ করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। আবিস্কার করেছেন সেই সময়কার বহু নির্দশন। সম্প্রতি একটি প্রাচীন দেয়ালচিত্র পাওয়া গেছে প্রাচীন নগরী পম্পেইতে। এটি পাওয়া যায় নগরীর একটি বেসমেন্টে। এই স্থানটি এখনও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করেননি প্রত্নতত্ত্ববিদরা। ধারণা করা হচ্ছে, সেটি দোকান হিসেবে ব্যবহার করা হতো এবং সেখানে মদের দোকান ও পতিতালয় ছিলো। চিত্রটি দেড় মিটার প্রশস্ত। প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, এই দেয়ালচিত্রটি অত্যন্ত সুন্দরভাবে সংরক্ষিত ছিলো। এর মাধ্যমে মূলত সেই সময়কার দু’জন যোদ্ধার (গ্ল্যাডিয়েটর) চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাদের হাতে রয়েছে ঢাল-তলোয়ার। তারা একে অন্যের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে পরাজিত যোদ্ধা রক্তাক্ত হয়েছেন এবং তিনি আঙুল উঁচিয়ে প্রতিপক্ষের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইছেন।
ইতালির সংস্কৃতিমন্ত্রী দারিও ফ্রান্সেসচিনি বলেছেন, এই দেয়ালচিত্র আবিস্কারের মধ্য দিয়ে এটা বোঝা যায় যে, প্রত্নতাত্ত্বিকদের জ্ঞান অর্জন এবং গবেষণার জন্য অফুরান খনি পম্পেই নগরী। মূলত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইতালির যৌথ উদ্যোগে পম্পেই নগরীতে খননকাজ চলছে। আর এই কাজ হচ্ছে ‘গ্রেট পম্পেই’ প্রকল্পের আওতায়। এখানে দুই হাজার বছর আগে যুদ্ধে ব্যবহৃত ঘোড়ার দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০ থেকে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির কঙ্কালও পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।