আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ৩৬ বছর বয়সী সানা মারিন বন্ধুদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে একটি পার্টি করেন। সেই পার্টির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর ফিনল্যান্ডেই ওঠেছে সমালোচনার ঝড়। অনেকে বলছেন, যখন ফিনল্যান্ডে গত ৩৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এবং বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন তখন পার্টিতে প্রধানমন্ত্রীর এমন নৃত্য করার বিষয়টি সমীচিন নয়।
২০১৯ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন সানা মারিন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৪ বছর। ফিনল্যান্ডের বিরোধী দলের একজন নেতা দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের ড্রাগ টেস্ট করা প্রয়োজন। কারণ তাদের শঙ্কা তিনি মাদকাসক্ত।
তবে প্রধানমন্ত্রী মাদকাসক্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করেছেন তিনি। পার্টিতে শুধুমাত্র মদ্যপান করেছিলেন তিনি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বলেন, আমি জানতাম বিষয়টি ভিডিও করা হচ্ছে; কিন্তু এটি জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়েছে এজন্য আমি ব্যথিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি নেচেছি, গেয়েছি এবং পার্টি করেছি। যা অবশ্যই বৈধ। আমি কোথাও যাইনি যেখানে মাদক বা মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছে। তিনি আরও বলেন, আমার পারিবারিক জীবন আছে। আমার কাজের জীবন আছে এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর অলস সময় আছে। আমার বয়সী সবাই যেরকমটি করে।
তিনি জানান, নিজের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আনবেন না। এবং তার আশা বাকিরা এটি স্বাভাবিকভাগে নেবে। তবে ফিনল্যান্ডের বিরোধী দলীয় নেতা রিক্কা পুরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিত স্বেচ্ছায় ড্রাগ টেস্ট করা। কারণ তাকে নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে আবার কয়েকজন বিরোধী দলের নেতা জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে মিডিয়া ও রাজনীতিবীদরা বেশি আলোচনা করছেন। যেটির কোনো প্রয়োজন নেই।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।