আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার হামলার প্রায় ২০ মাস পর আরও কিছু অধিকৃত এলাকা উদ্ধার করতে পেরেছে ইউক্রেন। সাফল্যের স্বার্থে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামরিক বাহিনীতে দ্রুত পরিবর্তনের ওপর জোর দিচ্ছেন।
রাশিয়ার হাত থেকে অধিকৃত এলাকা উদ্ধার করার লক্ষ্যে ইউক্রেন এখনো তেমন সাফল্য পায়নি। অন্যদিকে রাশিয়াও নতুন করে কোনো এলাকা দখল করতে পারেনি। ফলে দেশে-বিদেশে ইউক্রেনের ‘পাল্টা সামরিক অভিযান’ নিয়ে অনেক তর্কবিতর্ক চলছে। সে দেশের নেতৃত্বের ধারণা, জমি উদ্ধারের কাজে সাফল্যের অভাবে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সহায়তাও কমে যাচ্ছে।
রোববার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এক ধাক্কায় প্রায় তিন থেকে আট কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সেই অভিযানে দিনিপ্রো নদীর তীরে রুশ সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র অবশ্য জানিয়েছেন, যে রাশিয়া ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে রাশিয়া নদীর পশ্চিম তীর থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল। একাধিক প্রচেষ্টার পর এবার ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রুশ সৈন্যদের হাত থেকে আরও জমি উদ্ধার করলো। সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারলে তারা দক্ষিণ দিকেও অগ্রসর হতে পারে। তবে তার জন্য আরো সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে বলে সামরিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আসন্ন শীতকালে এমন প্রচেষ্টা আদৌ সম্ভব কিনা, সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের সামরিক সাফল্যের দাবি সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করে নি।
এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় সপ্তাহান্তে ড্রোন হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তবে দুই পক্ষই বেশিরভাগ হামলা বানচাল করার দাবি করছে। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবইয়ানিন বলেন, রোববার ভোরে শহরের উপকণ্ঠে একটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছে, ১৫ থেকে ২০টি রুশ ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ৩১টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করছে রাশিয়া।
গত বছরের শীতকালের মতো এবারও রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর জোরালো হামলা চালাবে বলে কিয়েভের নেতৃত্ব আশঙ্কা করছে। প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার রাতে বলেন, রাশিয়া বিদ্যুৎ ও উত্তাপ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাতে হামলা বাড়াতে পারে। তিনি যাবতীয় সমস্যা ও অবসাদ সত্ত্বেও ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে শতভাগ সক্রিয় থাকার ডাক দেন। রোববার তিনি সেনাবাহিনীর কাঠামোয় দ্রুত পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।
জেলেনস্কি সেনাবাহিনীর মেডিকেল ইউনিটের কমান্ডারকে বরখাস্ত করেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই ঘোষণা করা হয়। রাতের ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ফলের জন্য হাতে সময় বড় কম। তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রধান চলতি মাসে এক লেখনিতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তার মতে, যুদ্ধ নতুন এক পর্যায়ে প্রবেশ করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।