আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৩৬ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চলাকালে রুশ সামরিক অবস্থানগুলোতে ইউক্রেন একতরফাভাবে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। তবে কিয়েভ ও এর মিত্ররা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, লুহানস্ক, দোনেত্স্ক ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রুশ সামরিক অবস্থানগুলো হামলার শিকার হয়েছে। এর পরও যুদ্ধবিরতি পালন করছে রুশ সেনারা।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, লিমান অঞ্চলের দিকে রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে চারটি গোলা নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
ইউক্রেন বলছে, রুশদের ঘোষিত যুদ্ধবিরতির কারণে যুদ্ধ থামানোর কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। কিয়েভ ও এর মিত্ররা বলছে, বড়দিনের নাম করে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা মস্কোর সেনাদের আবার সংগঠিত হওয়ার একটি কৌশল।
রুশ অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের চার্চের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অর্থোডক্স সম্প্রদায়ের বড়দিন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার ৩৬ ঘণ্টা যুদ্ধবিরতি পালনের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইল পোদোলিয়াক বলেছেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা একটি পুরনো ও নিষ্ঠুর প্রতারণা।
রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কিছুক্ষণ পর একজন শীর্ষ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা বলেন, মস্কোর বাহিনী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত বা আহত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট দপ্তরের উপপ্রধান কিরিলো তাইমোশেংকো বলেন, ‘কমপক্ষে চারটি বিস্ফোরণ হয়েছে। আর তারা (রাশিয়া) যুদ্ধবিরতির কথা বলে। তাহলে বুঝুন, আমরা কাদের সঙ্গে যুদ্ধ করছি।’ তবে যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে নাকি পরে এই হামলা চালানো হয়েছে, তা নিশ্চিত করেননি তাইমোশেংকো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘গত ২৫ ডিসেম্বর ও নতুন বছরের প্রথম দিনে হাসপাতাল, নার্সারি ও চার্চে হামলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন তিনি (পুতিন)। আমি মনে করি, তিনি (পুতিন) অক্সিজেন নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।