আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে ফোনালাপের সময় ইউক্রেন ইস্যুতে একগুচ্ছ দাবি পেশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এসব দাবি পূরণ করা হলে ইউক্রেনে শান্তি আসবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার এরদোগান ও পুতিনের মধ্যে এ ফোনালাপ হয় বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দ্যা ডেইলি সাবাহ।
এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, এরদোগানের সাথে ফোনালাপের সময় ভ্লাদিমির পুতিন যে সকল দাবি পেশ করেছেন তা দু’টি বিভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম বিভাগে যে চারটি দাবি রয়েছে তা ইউক্রেনের জন্য পূরণ করা সহজ হবে। কিন্তু, দ্বিতীয় বিভাগে যে সকল দাবি রয়েছে তা পূরণ করা ইউক্রেনের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
প্রথম বিভাগে যে চারটি দাবি রয়েছে তার প্রধান শর্ত হচ্ছে, ইউক্রেনকে নিজেদের নিরপেক্ষ ভূমিকা মেনে নিতে হবে এবং তারা কখনো ন্যাটোতে যোগ দেয়ার চেষ্টা করবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এরই মধ্যে এ শর্ত মেনে নেয়ার কথাও বলেছেন।
প্রথম বিভাগের অন্যান্য শর্তগুলো হচ্ছে- ইউক্রেনকে একটি নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যার মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে রাশিয়ার জন্য ইউক্রেন কোনো হুমকি নয়। ইউক্রেনে রুশ ভাষাকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং দেশটিকে রাশিয়ার ভাষায় ‘ডি-নাজিফিকেশন’ অর্থাৎ নাৎসিমুক্ত করতে হবে।
ইউক্রেনের মতো ফিলিস্তিনের প্রতিও সংহতি প্রকাশের আহ্বান চিলির প্রেসিডেন্টের
দ্বিতীয় বিভাগের শর্তগুলো তুলনামূলক জটিল। কালিন ইব্রাহিম জানান, ফোন কলে পুতিন বলেছেন যে কোনো সমঝোতায় পৌঁছানোর আগে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে মুখোমুখি বসতে চান। জেলেনস্কিও এরমধ্যে জানিয়েছেন যে তিনিও রুশ প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
তবে ওই আলোচনার শর্তগুলো নিয়ে খুব পরিষ্কার করে কিছু বলতে চাননি কালিন কালিন। তিনি শুধু বলেছেন, এ বিষয়গুলো মূলত পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চল ও ক্রাইমিয়া সংক্রান্ত। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়াকে আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া যুদ্ধ বন্ধে কূটনীতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনা বৈঠকের অয়োজনও করতে চাইছেন তিনি।
সূত্র : দ্যা ডেইলি সাবাহ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।