ইউক্রেনে মুসলমানদের ঈদ, যুদ্ধ অবসানে দোয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনের জনসংখ্যার প্রায় ১ শতাংশ মুসলিম। শনিবার ঈদুল আজহার দিন কোস্তিয়ানতিনিভকা শহরের মদিনা মসজিদে নামাজের জন্য জড়ো হন কিছু মুসল্লি। মসজিদটি দোনবাসে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একমাত্র চালু থাকা মসজিদ।

সংবাদসংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসমাহিলভ নামে মসজিদটির ইমা বলেন, এই অঞ্চলে মোট ৩০টি মসজিদ আছে, তবে বেশিরভাগই এখন রাশিয়ানদের দখলে। তিনি জানান, ২০১৪ সালে রাশিয়ার আক্রমণে ক্রিমিয়া ও দোনবাস থেকে অনেক মুসলিম ইউক্রেনের অন্যান্য অংশে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হন। এবারের হামলায়ও অনেকে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

কোস্তিয়ানতিনিভকার মসজিদটিতে যুদ্ধের আগে কয়েকশ স্থানীয় মুসল্লি নামাজ আদায়ের জন্য আসতেন। কিন্তু শনিবার ঈদের দিন কেবল কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন। ঈদের জামাতে মূলত অংশ নেন বিভিন্ন ইউনিটের সেনা বা চিকিৎসকরা।

ঈদের নামাজের পর খুতবাতে ইসমাহিলভ যুদ্ধের মধ্যে এই বছরের ঈদের প্রতীকী তাৎপর্য আছে উল্লেখ করে রুশদের দখল করে নেওয়া অঞ্চলগুলোতে বসবাসকারী মুসলিমদের জন্য সবাইকে প্রার্থনা করতে বলেন তিনি। তিনি বলেন, ওইসব অঞ্চলের অনেক মুসলিম তাদের বাড়িঘর হারিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি মসজিদ গোলাবর্ষণে ধ্বংস হয়েছে। অনেক ভয় আছে। যুদ্ধ অব্যাহত আছে এবং আমাদের কোনো ধারণা নেই অধিকৃত অঞ্চলে কী ঘটছে এবং সেখানকার মুসলমানরা কী অবস্থায় আছে।

চেচেন ব্যাটালিয়ন মুসলিম হলেও তাদেরকে ‘অপরাধী’ হিসেবে বিবেচনা করে তিনি বলেন, কোনো যুক্তি ছাড়াই তারা ইউক্রেনীয় এবং ইউক্রেনীয় মুসলিমদের আবাসস্থলে এসেছে। তাদের সেই অধিকার আল্লাহ দেননি। আল্লাহর সামনে এসবের জন্য তাদেরকে জবাব দিতে হবে।

ওই মসজিদে ঈদের নামাজে এসেছিলেন ওলহা বাশেই নামের একজন আইনজীবী। তিনি এই যুদ্ধে প্যারামেডিক হিসেবে কাজ করছেন। রাশিয়া পৃথিবী থেকে ইউক্রেনকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই লড়াইকে তিনি ‘জিহাদ’ হিসেবে দেখছেন। যুদ্ধের সময় মানসিক শান্তি দিতে ইসলাম তাকে সাহায্য করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নায়িকাকে বুকে জড়ানোর দৃশ্য না থাকলে হলিউডে চিন্তা করব : অনন্ত জলিল

ঈদের নামাজে ইসমাহিলভ যুদ্ধে ইউক্রেনের জয় এবং রুশ দখলকৃত অঞ্চলগুলোর মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন উল্লেখ করে বলেন, আমরা প্রার্থনা করি, আমাদের দেশের মুসলিমরা নিরাপদ থাকবেন, আমাদের পরিবারগুলো আবার একত্রিত হবে, নিহত মুসলমানরা বেহেশতে যাবেন এবং যেসব মুসলিম সেনারা তাদের দেশকে রক্ষা করছে তাদেরকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করবেন।

সূত্র: এবিসি নিউজ