আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতি যুদ্ধ শেষ করার আহ্বান জানিয়ে সাদা পতাকা প্রদর্শন করতে বলেছিলেন ক্যাথলিক ধর্মালম্বীদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। এবার পোপের এই আহ্বানকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
পোপের এই আহ্বানকে ভার্চুয়াল মধ্যস্থতা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বিবিসি জানায়, ভ্লাদিমির জেলেনস্কি।
সুইজারল্যান্ডের আরএসআই নামের একটি টেলিভিশন ফেব্রুয়ারিতে পোপ ফ্রান্সিসের একটি সাক্ষাৎকার রেকর্ড করে। আগামী ২০ মার্চ এটি প্রচার করা হবে। ওই সাক্ষাৎকারে পোপের কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে পোপ বলেন, যখন আপনি দেখছেন হেরে যাচ্ছেন, সবকিছু ঠিকভাবে চলছে না, তখন আপনাকে আলোচনার পথ খুঁজতে হবে।
তার এই বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শুধু ইউক্রেনে নয়, এর বাইরেও পোপের সমালোচনা হয়েছে। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউক্রেনীয় গ্রিক ক্যাথলিক চার্চের প্রধানসহ ইউক্রেনবাসীরাও পোপের তীব্র সমালোচনা করছেন।
রবিবার রাতে এক ভিডিও ভাষণে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সরাসরি পোপকে উল্লেখ না করে, তার সমালোচনা করেছেন। সেই সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয়া ইউক্রেনীয় কাজের প্রশংসা করেছেন।
এর আগে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, আমাদের পতাকা হলুদ ও নীল রঙের। এটি সেই পতাকা যার মাধ্যমে আমরা বেঁচে থাকি, মৃত্যুবরণ করি এবং বিজয়ী হই। আমরা অন্য কোনও বা অন্য কারও পতাকা উত্তোলন করব না।
তবে ভ্যাটিক্যান সিটির এক মুখপাত্র জানান, পোপ ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণ করতে বলেনি। বরং সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে পোপের এ মন্তব্যের পর ভ্যাটিকানে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যারা অ্যাডলফ হিটলারের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেছিল। পোপের মন্তব্য ঠিক তেমনই।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের দুই বছরেরও বেশি সময় পর, রক্ষণাত্মক অবস্থানে রয়েছে কিয়েভ। কারণ গত মাসে তাদের কৌশলগত শহর আভদিভকা দখল করেছে রুশ সেনারা। বিপরীতে ভয়াবহ সেনা ও সামরিক সরঞ্জামের অভাবে রয়েছে ইউক্রেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।