আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির সংলাপ শুরুর জন্য নতুন দুটি শর্ত দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রথম শর্ত হলো—ইউক্রেনের যে চার প্রদেশ রাশিয়া নিজের সীমানাভুক্ত করেছে, সেই প্রদেশগুলো থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে হবে কিয়েভকে।
দ্বিতীয় শর্ত— ইউক্রেনকে অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আর তদবির করবে না কিয়েভ।
তবে এগুলোকে ‘সম্পূর্ণ ছলনা’ এবং ‘বিভ্রম’ মন্তব্য করে পুতিনের শর্তগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন।
শুক্রবার মিখাইলো পোডোলিয়াক নামে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এটা পুরোপুরিভাবেই ছলনা। আবারও বলছি বিভ্রম থেকে ফিরে আসুন এবং রাশিয়ার শর্তগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া বন্ধ করুন, যা সাধারণভাবেই আত্মঘাতী।’
এর আগে, ক্রেমলিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং অন্যান্য রুশ কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে পুতিন ওই শর্ত দিয়ে বলেন, আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। যে মুহূর্তে কিয়েভ (চার প্রদেশ থেকে) সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আর চেষ্টা করবে না বলে ঘোষণা দেবে, ঠিক তখন থেকেই আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি আলোচনা এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করব।
২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া হারানোর পরের বছর বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইউক্রেন। সেই চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে ইউক্রেনের স্বীকৃতি দানের বিষয়টি।
তবে সেই শর্ত পূরণের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য তদবির শুরু করে ইউক্রেন। এ নিয়ে কয়েক বছরের টানাপোড়েনের পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভ্লাদিমির পুতিন। সেই অভিযান এখনো চলছে।
এদিকে ইউক্রেনের নিজস্ব অস্ত্র ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সহায়তার ওপর নির্ভর করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
শুক্রবারের ওই বৈঠকে পুতিন বলেন, এ লড়াই থেমে যেত অনেক আগেই। আমরা যুদ্ধ শুরু করিনি, পশ্চিমা দেশগুলো অস্ত্র সহায়তা দিয়ে এটিকে জিইয়ে রেখেছে। আমরা শুধু চাই ইউক্রেনের সরকার রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান নিক, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আসুক এবং ইউক্রেনের জনগণের ভবিষ্যতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।