আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছর হয়ে গেছে। এ উপলক্ষে জাতিসংঘ রাশিয়ার নিন্দা করেছে। এর পাশাপাশি ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবিসহ নানা সমালোচনার মুখেও পড়ছে মস্কো। এদিকে, ইউক্রেন রাশিয়ার আর্থিক খাতের বিরুদ্ধে ৫০ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনের পার্লামেন্ট এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সংসদ রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, দেশের সমস্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিনিয়োগ তহবিল, বীমাকারী ও অন্যান্য উদ্যোগসহ বিভিন্ন রাশিয়ান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর ৫০ বছরের জন্য ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
কিয়েভ একটি পূর্ণ মাত্রার সামরিক আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার উপর আর্থিক চাপ বজায় রাখতে সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নিয়েছে। ইউক্রেনের ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের গভর্নর অ্যান্ড্রি পিশনি ফেসবুকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের বাজার ও সম্পদে রাশিয়ান ফেডারেশনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাক্সেস সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়াকে দুর্বল করার জন্য আমাদের হাতে সব উপায় ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া আর্থিক খাত (রাশিয়ার কাছে) এই যুদ্ধের কৌশলগত দাতা।’ ইউক্রেনের সংসদের ৩২৫ জন ডেপুটি অর্ধ শতাব্দী ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ইউক্রেনের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী ইউলিয়া সিভিরিডেনকো জানিয়েছেন, তাদের দ্বারা আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ায় নিবন্ধিত শত শত ব্যাংক এবং কয়েক হাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করবে। এটি রাশিয়ান ফেডারেশনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানাধীন সত্তার সঙ্গে লেনদেন, ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন ও রাশিয়ান আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেনদেন ও বিনিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত করে।
ইউক্রেন অবশ্য এরই মধ্যে শত শত রুশ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি রাশিয়ান সংযুক্ত ব্যক্তিদের জমির মালিকানায় হস্তক্ষেপ করেছে, রাশিয়ান পণ্য ও নির্দিষ্ট পরিষেবাগুলোর সর্বজনীন ক্রয় নিষিদ্ধ করেছে ও রাশিয়ান সংযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে প্রযুক্তি স্থানান্তর স্থগিত করেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি মস্কোর ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে আসছে। যার মধ্যে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি রাশিয়ার পারমাণবিক খাতকে লক্ষ্য করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।