লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকের মাথায়ই উকুন বাসা বাধে। উকুন ভীষণ অস্বস্তিকর। স্বাস্থ্যহানির কারণও বটে। কেননা, উকুন আপনার শরীরের রক্ত খেয়েই বাঁচে। এই পরজীবী থেকে বাঁচার উপায় বাতলে দিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ডাক্তার তাসনিম জারা। তার মতে ওষুধ ছাড়াই উকুনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করুন উকুন
এই পদ্ধতি সবার আগে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ডা. তাসনিম জারা। তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে উকুন দূর করতে সময় লাগবে ১৫ দিন। এই ১৫ দিনে ৪ বার চুল ভিজিয়ে উকুনের চিরুনি (চিকন চিরুনি) দিয়ে চুল আঁচড়াতে হয়। দিনগুলো হল- প্রথম, পঞ্চম, নবম এবং ১৩তম দিন। এক্ষেত্রে তিনদিন পরপর চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হবে চুল। এই পদ্ধতিতে উকুনের ডিম সহ বড় উকুনও মারা যাবে। ভালো করে তেলে চুল ভিজিয়ে আঁচড়াতে পারেন বা ভেজা চুল ভিজিয়ে তা আঁচড়ানো সম্ভব।
ওষুধ
ছয় মাস বা তার বেশি বয়সীরা উকুননাশক ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন। মাথার তালুতে উকুননাশক ওষুধ লাগাতে হবে। গোড়া থেকে ওষুধটি প্রয়োগ করতে হবে। পুরো তালু, প্রতিটা চুলে যাতে ওষুধটি পৌঁছায় সেই বিষয়ে সতর্ক করছেন তাসনিম জারা। ১০ মিনিট এই ওষুধটি রাখতে হবে। তারপর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে শ্যাম্পু করতে চাইলে ২৪ ঘণ্টা পরে করতে হবে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এই ওষুধ অত্যন্ত নিরাপদ ওষুধ। ডাক্তারের তত্ত্বাবধান ছাড়াই এই ওষুধ ব্যবহার করা যায়। তবে গর্ভবতী বা বাচ্চাকে দুগ্ধ পান করান তাদের এই ওষুধ ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তাসনিম জারা। এছাড়াও এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে রয়েছে খুসকি হওয়া, চোখে গেলে যন্ত্রণা হওয়া। চোখে চলে গেলে পানি দিলে আরাম পাওয়া যাবে।
ভেষজ উপায়ে কি উকুন দূর?
উকুন দূর করে রসুন বা টিট্রি অয়েল এই ধরনের কোনও প্রমাণ নেই। তাই কেউ চাইলে এই উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু, ডা. তাসনিম জারা বলেন তিনি এই উপাদানগুলো ব্যবহারের পরামর্শ দেবেন না।
যে ভুলের কারণে উকুন মুক্ত হতে পারছেন না
তাসনিম জারা বলেন, বাড়ির অন্য কারও উকুন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। সবাইকে একই দিনে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। যার মাথায় উকুন রয়েছে তার চুলের ব্রাশ প্রতিদিন পাঁচ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। চিকিৎসা শুরুর দুইদিন আগে পর্যন্ত ব্যবহার করা চাদর ধুয়ে ফেলতে হবে গরম পানিতে যাতে উকুন না লেগে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।