আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিস্ময়ে ভরপুর সমুদ্রগুলো। এই বিস্ময়ের পুরোটা হয়তো কোনো দিনই মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব হবে না। তবে সাম্প্রতিক এক আবিষ্কারের অংশ হিসেবে বিজ্ঞানীরা পানির নিচে অন্তত চারটি নতুন পর্বত খুঁজে পেয়েছেন; যেগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন বুর্জ খলিফার চেয়েও উঁচু। এর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতটির উচ্চতা আড়াই কিলোমিটারেও বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে আজ রোববার ‘টাইমস নাও’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে স্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক কোস্টারিকার গলফিটো থেকে চিলির ভ্যালপ্যারাইসো যাওয়ার পথে ওই চারটি পর্বতের অস্তিত্ব খুঁজে পান। এগুলোর উচ্চতা ১ হাজার ৫৯১ মিটার থেকে ২ হাজার ৬৮১ মিটারের মধ্যে। সবচেয়ে উঁচু পর্বতটি প্রায় সাড়ে ৪০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে গুয়াতেমালা উপকূলেও ১ হাজার ৬০০ মিটার উঁচু আরও একটি পর্বত খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
স্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, সাম্প্রতিক আবিষ্কারের আগে কোনো তথ্য-ভান্ডারেই ওই পর্বতগুলো সম্পর্কে কোনো তথ্য ছিল না। ‘সিবেড-২০৩০’ নামে একটি প্রকল্পের অধীনে সমুদ্রের তলদেশের মানচিত্র তৈরির কাজ করছে এই সংস্থাটি। বর্তমানে এ কাজের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সমাপ্ত হয়েছে।
জানা গেছে, ‘গ্র্যাভিটি অ্যানোমেলিস’ পদ্ধতি ব্যবহার করে সমুদ্রের তলদেশের মানচিত্র তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সমুদ্রতলের আকৃতির পরিবর্তনগুলো সমুদ্রের উপরিভাগেও সামান্য পরিবর্তন ঘটায়। পানির নিচে একটি গভীর এলাকা কিংবা একটি পর্বত পানির উপরিভাগে তারতম্যের সৃষ্টি করতে পারে।
স্মিট ওশান ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সমুদ্রতলের ১৫ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা জরিপ করেছেন এবং এই অঞ্চলগুলোতে ২৯টি পাহাড়, পর্বত এবং গভীর খাদ শনাক্ত করেছেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পানির নিচের এই জরিপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পানির নিচের খাদগুলো প্রায় সময়ই গভীর সমুদ্রের প্রবাল প্রাচীর এবং জলজ বনের সৃষ্টি করে। এই অঞ্চলগুলো জলজ প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয় এবং খাদ্য জোগায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।