জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে ২০৩০ সালে ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা হবে মোট জনসংখ্যার ১২ ভাগ। কিন্তু বেশির ভাগের নেই শেষ জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা। এসব বিবেচনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরু থেকেই সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। তবে, পাইলট প্রকল্প হিসাবে নয়, জুলাই থেকেই পুরোপুরি চালু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা।
এতে ব্যক্তিপ্রতি চাঁদা দিতে হবে সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক এ পেনশনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। একটানা ১০ বছর চাঁদা পরিশোধ করলে পাওয়া যাবে পেনশন সুবিধা।
আইন অনুযায়ী প্রবাসী, বেসরকারি চাকরিজীবী ও যে কোনো শ্রেণিপেশার কর্মী ও অস্বচ্ছল ব্যক্তিদের জন্য থাকবে আলাদা ব্যবস্থা। শুধু অস্বচ্ছলদের চাঁদায় ৫০ শতাংশ সহায়তা করবে সরকার।
প্রবাসী ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ব্যক্তিদের মাসিক চাঁদার হার হবে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা। বেসরকারিখাতের চাকরিজীবীদের চাঁদার হার হবে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা। পেনশনের আয় হবে করমুক্ত।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা আধুনিক একটি সিস্টেম। উন্নত বিশ্বে এটি চালু আছে। এখন আমাদের দেশে চালু করা হচ্ছে। প্রথম কয়েক বছর এটা নিয়ে গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হবে যেন সব ঠিকঠাক থাকে। তবে বাধাহীনভাবে সবাইকে এর আওতায় আনতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে।
অন্যদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যবস্থাপনা সঠিক হলে রাষ্ট্রের সব নাগরিককে এর সুফল দেয়া সম্ভব। তবে এ জন্য নিশ্চিত করতে হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এ ব্যবস্থায় আর্থিক বিষয় ভালোভাবে যুক্ত থাকবে। তাই জড়িত সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা যেন থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে।
জমা টাকার বিপরীতে সর্বোচ্চ ৫০ ভাগ ঋণ নেওয়ার সুযোগও থাকছে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।