Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বিজ্ঞানী নিউটনের শৈশবের অজানা কাহিনী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিজ্ঞানী নিউটনের শৈশবের অজানা কাহিনী

Saiful IslamJune 6, 20244 Mins Read
Advertisement

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : নিউটনের বাবা-দাদা ছিলেন গৃহস্থ। জমিদার বললেও চলে। লেখাপড়ার চল তেমন ছিল না নিউটন পরিবারে। অঢেল সম্পত্তি! এত আর কে খাবে? কী দরকার জমীদারি ছেড়ে সরকারি চাকরি করার! নিউটনের মা-ও চাইতেন তাঁর ছেলে লেখাপড়া ছেড়ে চাষবাষে মন দিক।

Newton
প্রতীকী ছবি

এই ব্যাপারটাই নিউটনের ভালো লাগত না। পড়াশোনায়, কার্যকারণে, বিজ্ঞানে, গণিতে তাঁর রাজ্যের আগ্রহ। সেই আগ্রহে কিনা জল ঢেলে দিতে চান মা। সুতরাং মন বিষিয়ে ওঠে নিউটনের।

কিন্তু মন বিষানো এই তাঁর প্রথম নয়। সেই ছেলেবেলায় যখন মা দ্বিতীয় বিয়ে করেন তখন থেকেই মায়ের প্রতি ভীষণ খ্যাপা নিউটন।
খুব অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়েছিলেন হানা নিউটন। পেয়েছিলেন স্বামীর অঢেল সম্পত্তি।

স্বামীর রেখে যাওয়া ভালোবাসা, শোক আর শিশু পুত্রকে বুকে ধরেই পার করে দিতে চেয়েছিলেন বাকি জীবন। কিন্তু সব সময় আত্মনিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে না মানুষ। স্বামীহারা হান্না নিয়মিত যাতায়াত করেন গীর্জায়। স্মিথ নামে এক পাদ্রী ছিল সেখানে। তাঁর কাছে ধর্মের বাণী, উপদেশ শুনে মনটা হালকা করতে যেতেন হানা।

নিজে স্বামীহারা, অন্যদিকে স্মিথেরও সদ্য পত্নিবিয়োগ হয়েছে। দুজন নিঃসঙ্গ নর-নারী নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ করছেন। ধর্মের বাণী শোনাচ্ছেন, শুনছেন। একাকীত্ব আর কষ্টগুলোও ভাগ করে নিচ্ছেন। এ থেকেই পরস্পরের প্রতি একটা সহানূভতি তৈরি হবে, সেটাই নিয়ম। আর সেই সহানুভূতি প্রেমে রূপান্তরিত হতেও সময় নেয়নি। প্রথমে মন দেওয়া-নেওয়া, পরে বিয়ে। টাকা-পয়সার প্রতি একটু বেশিই লোভ ছিল হানার। বিয়ের সময় স্মিথের কাছ থেকে পণ হিসেবে নিয়েছিলেন চাষের জমি।

হানা যখন স্মিথকে বিয়ে করছেন, তখন নিউটনের বয়স সবে চার। বিয়ের পর হানা স্মিথের সঙ্গে চলে গেলেন শ্বশুরবাড়ি। আর শিশু নিউটনকে রেখে গেলেন তাঁর মা অর্থাৎ নিউটনের নানির জিম্মায়। মায়ের স্নেহ-ভালোবাসা থেকেও বঞ্চিত হলেন। নানা-নানির পরিবারে অনেকটা নিভৃতে কাটছিল নিউটনের দিন। স্কুলে ভর্তি করানো হলো তাঁকে। কিন্তু তাঁকে ছেড়ে মায়ের চলে যাওয়টা আজীবন মানতে পারেনি নিউটন। স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। পড়াশোনাও চলছিল বেশ। কিন্তু বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিশতেন না। একাকী কী যেন ভাবতেন।

বিয়ের আট বছরের মাথায় স্মিথও মারা যান। সুতরাং দ্বিতীয়বার বিধবা হয়ে হান্না আবার ফিরে আসেন উলসথর্পে। নিউটনকে বলেন পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে যেন গ্রামে ফিরে আসে এবং চাষবাষে মন দেয়। বাধ্য হয়ে লেখপড়া ছেড়ে তাঁকে ফিরে আসতে হলো উলসথর্পে কিছুদিনি কৃষিকাজ করলেন। কিন্তু ভবিষ্যতে যিঁনি মহাবিজ্ঞানী হবেন, তার কি কৃষিকাজে মন বসে! তাই নিউটন আসার পর জমিতে-খামারে ফলন তো হচ্ছিলই না, উল্টে বরং ক্ষতির অঙ্কটা বাড়ছিল দিনকে দিন।

নিউটনের মামা হানাকে পরামর্শ দিলেন ছেলেকে বাড়ি থেকে বিদেয় করে স্কুলে ভর্তি করানো হোক। কিন্তু হানা ছেলের পেছনে টাকা খরচ করতে মোটেও রাজি নন। ঠিক সে সময় নিউটনের এক শিক্ষকের কাছ থেকে আসে লোভনীয় এক প্রস্তাব। স্কুলে ফেরৎ যদি পাঠানো নিউটনকে, খরচ সব ওই শিক্ষক দেবেন। নিউটনকে স্কুলে ফের ভর্তি করানো হলো। কিন্তু বছরে মাত্র দশ পাউন্ড করে খরচ যোগাবেন হানা। বাকিটা নিউটনকেই জোগাড় করে নিতে হবে। আর হ্যাঁ, শিক্ষকের দানও নেওয়া চলবে না। নিউটন ভর্তি হলেন ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে। কিন্তু মায়ের দেওয়া টাকায় তো চলবে না। তখন ট্রিনিটি কলেজের সাবসাইজার ব্যবস্থা চালু ছিল। এই এ ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার জন্য কলেজে কোনো টাকা দিতে হত না। কিন্তু অনেকটা চাকরের মতো ফুট-ফরমায়েশ খাটতে হত শিক্ষার্থীকে। কলেজের একেকজন ফেলোর একজন করে এ ধরনের চাকর থাকত। এই ফেলোদের সহকারীর কাজ করতেই হতো এমনকী তাঁদের মল-মূত্রও পরিষ্কার করতে হত সাবসাইজারদের। অথচ নিউটনের মা বিশাল সম্পত্তির মালিক, বছরে তাঁরা আয় সাত শ পাউন্ডেরও বেশি!

এসব ঘটনা যেমন নিউটনকে রাগী-বদমেজাজী করে তুলেছিল। তেমনি মহাবিজ্ঞানী হওয়ার পথেও বড় ভূমিকা রেখেছিল বলেই মনে করেন অনেকে। নিউটন ভীষণ একাষেড়ে ছিলেন, এ কথা কারও অজনা নয়। কিন্তু একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল তাঁর। না, সেই বন্ধু কোনো মেয়ে বা নারী নন। কলেজ জীবনে ঘনিষ্টতা হয় নিকোলাস উইকিন্স নামে এক তরুণের সঙ্গে। তাঁরা দুজনেই নিজ নিজ রুমমেট দিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁদের ঘনিষ্টতা হয়। এক সময় তাঁরা দুজন একটা রুমে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। অনেকদিন তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। এই বিষয়টাকেই অনেকে ভালো চোখে দেখেননি। তাই সেকালে অথবা একালের কোনো সময় কিছু লোক গুজব ছড়িয়েছিল নিউটন আর উইকিন্স দুজনেই আসলে সমকামী ছিলেন, তাই রুম শেয়ারের আড়ালে লিভ টুগেদার করতেন। এ ঘটনা সত্য কিনা যেমন জোর দিয়ে বলা যায় না। আবার মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেওয়ারও সুযোগ নেই। আর সত্যিও যদি হয়, তাহলে ছেলেবেলায় মায়ের বিয়েটাকেও এর জন্য দায়ী করা যায় চোখ বুজে।

সূত্র: ব্রিটানিকা ডট কম

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অজানা কাহিনী নিউটনের প্রযুক্তি বিজ্ঞান বিজ্ঞানী শৈশবের
Related Posts
mobile-net

ফোনে নেটওয়ার্ক কম পায়? সহজ সমাধান জেনে নিন

December 17, 2025
সেরা ক্যামেরা ফোন

২০২৫ সালের কিছু সেরা ক্যামেরা ফোন: কোনটি আপনার জন্য পারফেক্ট?

December 17, 2025
প্যাটার্ন লক

স্মার্টফোনের প্যাটার্ন লক ভুলে গেলে যা করবেন

December 17, 2025
Latest News
mobile-net

ফোনে নেটওয়ার্ক কম পায়? সহজ সমাধান জেনে নিন

সেরা ক্যামেরা ফোন

২০২৫ সালের কিছু সেরা ক্যামেরা ফোন: কোনটি আপনার জন্য পারফেক্ট?

প্যাটার্ন লক

স্মার্টফোনের প্যাটার্ন লক ভুলে গেলে যা করবেন

Smartphones

সেরা ১০টি দ্রুতগতির স্মার্টফোন, সর্বশেষ আপডেট

ChatGPT

শুধু বিদ্যুৎ নয়, পানিও খরচ করে চ্যাটজিপিটি!

স্মার্টফোন-স্লো

স্মার্টফোন স্লো হয়ে গেলে ফাস্ট করার দুর্দান্ত উপায়

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন

বিশ্বের জনপ্রিয় ৫টি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন

স্মার্টফোনে নেটওয়ার্ক

স্মার্টফোনে নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধান করার উপায়

হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট

৪টি ভুলে স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট

ডার্ক ওয়েব রিপোর্ট

আর থাকছে না গুগলের ডার্ক ওয়েব রিপোর্ট

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.