সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা কাঁচাবাজার এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ জনগণকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হলেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সড়কটিতে চলাচলকারীরা শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে সড়কে ধুলায় ধূসরিত, আর বৃষ্টিতে কাদা-পানিতে সয়লাব থাকে। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।
এলাকাবাসী ও যানবাহনের চালকরা জানান, বেউথা সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই হরিরামপুর উপজেলা, ঘিওরের নালী ইউনিয়ন মানিকগঞ্জ সদরের নবগ্রাম ইউনিয়ন, শিবালয় উপজেলার আরোয়া ও শিমুলিয়া ইউনিয়নসহ মানিকগঞ্জ পৌরসভার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। মাটি আর বালুর ট্রাকের কারণে খানাখান্দের সৃষ্টি হওয়া এই সড়কটিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেউথা তিন রাস্তার মোড় হতে সেতু পর্যন্ত সামান্য একটু সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটির বেশ কয়েক জায়গায় পানি জমেছে। কাদায় সয়লাব হয়েছে অধিকাংশ জায়গা।
এলাকাবাসী জানায়, বৃষ্টি না থাকলে যানবাহন চলাচলের সময় ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায় পুরো এলাকা। আর বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে ভরে যায়। তখন গাড়ি উল্টে যায়, সৃষ্টি হয় নানা ভোগান্তি।
আন্ধারমানিক গ্রামের খোরশেদ মিয়া বলেন, শুকনা মৌসুমে এ পথে হাঁটতে গেলে ধুলায় শ্বাসকষ্ট হয়। আশপাশের বাড়িঘর ও দোকানপাটে ধুলার আস্তর পড়ে গেছে। গাড়ি কাত হয়ে উল্টে যায়। আর সামান্য বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়।
মুদি দোকানদার রায়হান মিয়া বলেন, ধুলায় দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর ভাঙা রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতে চোখের সামনে কত গাড়ি উল্টে যায়! এখন একদিকে ধুলা, আর অন্যদিকে বর্ষায় কাদার কারণে এ রাস্তায় চলাচল করা যায় না।
চা দোকানদার রাজা মিয়া বলেন, ধুলাবালুর কারণে চায়ের দোকানেও চা-বিস্কুট খেতে লোকজন কম বসে।
আব্দুল আলীম নামের এক বাস চালক বলেন, সারা বছরই এই সড়ক দিয়ে স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে চলাচল করি। রাস্তার এমন খারাপ অবস্থার কারণে গাড়ির যেমন ক্ষতি হয়, শিক্ষার্থীদেরও অনেক ভোতান্তি হয়। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানাই।
ফারুক মিয়া নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়ে এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। এত বাজে সড়ক কমই আছে। সড়কটি সংস্কার করা হোক।
অটোরিকশা চালক নাজমুল হোসেন বলেন, লেছড়াগঞ্জ থেকে এ সড়ক দিয়ে মানিকগঞ্জ বেউথা স্ট্যান্ড চলাচল করি। ভাঙা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে কয়েকবার ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো: রমজান আলী বলেন, ওই রাস্তাটুকু এলজিইডির অধীনে। একটা ইস্টিমেট করে রাস্তাটি যেন দ্রুত মেরামত করে সেটা তাদেরকে বলেছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, আমরা ইতোমধ্যে একটা ইস্টিমেট করে হেড অফিসে পাঠিয়েছি। সেখান থেকে এপ্রুভাল পেলে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত সড়কটি মেরামত করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।