সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে এক সেবা গ্রহীতা এক নারীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার গত রবিবার (১০ আগস্ট) জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার শিবালয় উপজেলার কাতরাসিন গ্রামের আ:সালামের স্ত্রী।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৬ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিজের বসতবাড়ির রাস্তা সংক্রান্ত বিষয়ে একটি দরখাস্ত নিয়ে স্বামীকে সঙ্গে করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। সেখানে সালাম দেওয়ার পর ইউএনও তাদের বসতে না বলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন।
এরপর উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব গোলাম মোস্তফা রুমে প্রবেশ করে ইউএনওকে মোবাইলে একটি ছবি দেখান। ইউএনও ছবিটি দেখিয়ে শিউলি আক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন এটি তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা কি না। তিনি ছবি চিহ্নিত করে রাস্তার বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করলে ইউএনও তাকে ‘পান খেয়েছেন’ বলে কটূক্তি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
শিউলি আক্তার রুম থেকে বের হতে গেলে ইউএনও টেবিল থেকে তার দিকে কিছু নিক্ষেপ করেন এবং দরজার কাছে গিয়ে পিছনের দিকে তাকালে তিনি শিউলিকে ‘যা এখান থেকে বের হয়ে যা’ বলে তাড়িয়ে দেন। এরপর শিউলি ও তার স্বামী ভয়ে সেখান থেকে চলে আসেন।
শিউলি আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “এই অফিসার শুধু আমাকে অপমান করেননি, ইতোপূর্বেও অনেককেই এখান থেকে লাঞ্ছিত হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। আমার কথা যদি বিশ্বাস না হয় তার অফিসে সিসিটিভি আছে, ফুটেজ দেখেন আমি মিথ্যা বলেছি কিনা।”
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ওই মহিলার জমির পাশ দিয়ে রাস্তা হচ্ছে। তার দুই ফুট জমি রাস্তায় পড়েছে। কিন্ত সে জমি দিতে চাচ্ছেনা। তাই আমার নামে গুজব ছড়াচ্ছে। সে আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কথা বলতেছিল, তাই তাকে দূরে সরে যেতে বলেছি। তাকে আমি কোন গালাগালি করিনি।
জেলা প্রশাসক ড: মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel