সাইফুল ইসলাম : মানিকগঞ্জে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক ইউনিয়ন পরিষেদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত ও অপর একটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে।

গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. নূরে আলম স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ ও প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের পরিষরেদর প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা ও দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ।
উপসচিব মো. নূরে আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- নানাবিধ অনিয়ম ও প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং চেয়ারম্যান মাসুদ রানার অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী হওয়ায় তাকে নিজ পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়- দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন একই উপজেলার চরকাটারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকি কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে ৭৯৫টি জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই বাছাই ব্যতীত অবৈধভাবে অনলাইনে ইস্যু করা হয়েছে যা অসদাচরণের শামিল। এটা চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। প্রশাসকি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে “দায়িত্ব পালনে অবহেলা”, “অসদাচরণ” ও “অদক্ষ”- এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকুরী হতে অপসারণ করা হলো।
অফিস আদেশে আরো বলা হয়- আলমগীর হোসেন শুধুমাত্র নিজের প্রদত্ত চাঁদা ও এর উপর অর্জিত সুদ বা ইনক্রিমেন্ট প্রাপ্য হবেন। বিধি অনুযায়ী তিনি কোন আনুতোষিক প্রাপ্য হবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।