জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার সুজানগরে দুস্থদের খাদ্য সহায়তার ৬৫ বস্তা চাল বিতরণ না করে গুদামে মজুত করে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৬ জুন) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় ১৫০ লোক চাল নিতে আসেনি। তাদের চাল গুদামে রাখা হয়েছে। ঈদের পরে সুবিধাভোগীদের ডেকে বিতরণ করা হবে। এটি ব্যক্তিগত গুদাম নয়, ইউনিয়ন পরিষদের জন্য অনুমোদিত।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে ২৩০০ কার্ডে দুস্থদের খাদ্য সহায়তার (ভিজিএফ) চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে বিতরণ শুরু করে ঈদের আগেই বিতরণ সম্পন্ন করার কথা ছিল।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিপুল পরিমাণে চাল বিতরণ না করে নাজিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান গোয়ারিয়া বাজারে তার গুদামে মজুত রাখেন। রোববার সন্ধ্যা থেকে ভ্যানযোগে কয়েক বস্তা করে চাল বিভিন্ন জায়গায় যেতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের।
বিষয়টি জানাজানি হলে গুদামের আশপাশে লোকজন ভিড় করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের লোকজন সটকে পড়েন। অভিযোগ পেয়ে গভীর রাতে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ অভিযান চালিয়ে ৬৫ বস্তা চাল জব্দ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, অভিযান চালিয়ে গুদামে ৬৫ বস্তা চাল পেয়েছি। যেটি ঈদের আগেই বিতরণ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান বলেছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে প্রায় ১৫০ সুবিধাভোগী চাল নিতে আসেনি। সেগুলো উনি গুদামে রেখেছেন। এছাড়া, যেগুলো বিতরণ করা হয়েছে, সেগুলো ঠিকঠাক হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ৬৫ বস্তা চাউল জব্দ করে ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এতগুলো চাউল বিতরণ হয়নি অথচ উনি (চেয়ারম্যান) সংশ্লিষ্ট কাউকে জানাননি। এখানে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।