আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলে মার্কিন রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডের সঙ্গে যোগ দিয়েছে অপর যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার ও এর স্ট্রাইক গ্রুপ। এ দুটি রণতরী ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য দিয়েছে। তাদের লাইভ আপডেটে মার্কিন রণতরী ইসরায়েল পৌঁছানোর কথা বললেও কখন ও কোথায় এসে নোঙর করেছে সে তথ্য দেওয়া হয়নি।
এর আগে গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বৃদ্ধির প্রস্তুতির পাশাপাশি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দ্বিতীয় রণতরী ও এয়ার ফোর্সের ফাইটার জেট পাঠানোর নির্দেশ দেয় পেন্টাগন।
তার আগে গাজায় আকাশ, সমুদ্র ও স্থলভাগ থেকে সমন্বিত আক্রমণ করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ঘোষণা অনুসারে গাজার স্থলভাগে অভিযানও পরিচালনা করা হয়। প্রথম দফা এ আগ্রাসনকে ‘স্থানীয় অভিযান’ বলে অবিহিত করছে দেশটির সশস্ত্রবাহিনী।
ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জানিয়েছে, পদাতিক ও সাঁজোয়াবাহিনীর সদস্যরা গাজার নির্ধারিত অঞ্চলগুলোয় অভিযান চালিয়েছে মূলত লুকিয়ে থাকা হামাস সদস্য, তাদের অবকাঠামো ও বিভিন্ন সেলগুলো শনাক্ত করতে।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে দোষারোপ করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন গাজায় জাতিগত নিধনে সহায়তা করছেন ব্লিঙ্কেন।
আল শাবাকা থিঙ্ক ট্যাঙ্কের জ্যেষ্ঠ নীতি বিশ্লেষক ও পডকাস্ট রিথিংকিং প্যালেস্টাইনের হোস্ট ইয়ারা হাওয়ারি আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বৈঠকে অংশ নিয়ে গাজায় মানবিক করিডোর তৈরির ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানানো হচ্ছে। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এটিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বের হয়ে যাওয়ার নিরাপদ পথ হিসাবে বর্ণনা করছেন। কিন্তু ভয়ের বিষয় হলো- এটি মোটেও মানবিক করিডোর নয়, বরং নির্বাসনের স্থায়ী পদযাত্রা।
তিনি বলেন, ইসরায়েল সরকার শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার সংক্রান্ত কোনো আন্তর্জাতিক কনভেনশনকে সম্মান করে না। তাই এমন কোনো প্রত্যাশা নেই যে, একবার বোমাবর্ষণ বন্ধ হয়ে গেলে ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারবে।
গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফর করেন ব্লিঙ্কেন। সফরে গিয়ে ইসরায়েলকে সহায়তার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে অপ্রতিরোধ্য দ্বিদলীয় সমর্থন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
একইসঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, কোনো রাষ্ট্র বা অ-রাষ্ট্রীয় কেউ যাতে ইসরায়েলে চলমান হামলা থেকে সুযোগ না নেয়। ইসরায়েলের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তিনি ইসরায়েলকে সহায়তায় দেওয়া ইউএসএস ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার ও এর স্ট্রাইক গ্রুপের কথাও উল্লেখ করেন।
বেসামরিক লোকেদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা এড়াতে সম্ভাব্য সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।