জুমবাংলা ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কি বাংলাদেশ জিএসপি (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্সেস) বা অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ফিরে পাবে? নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদের বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতার কারণে এটি পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন আশাহত ব্যবসায়ীরা। যদিও ব্যক্তির চেয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর জোর দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
জিএসপির আওতায় উন্নত দেশে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে অনুন্নত ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো পেয়ে থাকে এ বিশেষ সুযোগ। তৈরি পোশাকশিল্প বাদ থাকলেও অন্য পণ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন বাজারে এ সুবিধা পেয়ে আসছিল বাংলাদেশ। যদিও ২০১৩ সালের এপ্রিলে সাভারের রানাপ্লাজা ধসের ঘটনায় বাংলাদেশের জিএসপি স্থগিত করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এরপর নিরাপদ কর্মপরিবেশের সঙ্গে শ্রম আইনেও এসেছে পরিবর্তন। তারপরও নানা শর্তের বেড়াজালে মেলেনি স্থগিত করা সে বাণিজ্য সুবিধা।
তবে এবার বদলেছে এ অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যবসায়ীদের আশার পালে হাওয়া লাগিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক মার্কিন জিএসপি ফিরে পেতে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন রফতানিকারকরা।
নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নেয়ায় জিএসপি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তার ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে দরকষাকষি নানাভাবে হতে পারে; সেটা জিএসপি কিংবা অন্য কিছুতে। শুল্কমুক্ত প্রবেশ হলেও সেটা আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি হবে। আর তা কেবল ড. ইউনূসের পক্ষে সম্ভব।
তবে এক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদের পরামর্শ ভিন্ন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সুবিধা আদায়ে ব্যক্তি সম্পর্কের চেয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভিয়েতনাম এবং ইথিওপিয়া জিএসপি সুবিধা পেতে পারলে বাংলাদেশ কেন পাবে না? ব্যক্তি সম্পর্কের চেয়ে পলিসিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন, সেখানে বিল ক্লিনটন বা হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব রয়েছে। এই সম্পর্কের কারণে হয়ত কাজটা তাড়াতাড়ি করতে পারবেন। কিন্তু সেই বন্ধুত্ব দিয়ে তো দেশটির সরকারের পলিসি পরিবর্তন করা যাবে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সরকারেরও তো অভ্যন্তরীণ নিয়ম আছে।’
নতুন করে মার্কিন জিএসপি ইস্যুতে এবার যেন অগ্রাধিকার পায় তৈরি পোশাকখাত — সেই দাবিও ব্যবসায়ীদের। কারণ ইউরোপের পরই বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বৃহত্তম বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।