আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিক্ষামূলক ভ্রমণে বিদেশে গিয়ে প্রথম দর্শনেই প্রেম। দু’বছরের মাথায় প্যারিসের যুবককে বিয়ে করেন মার্কিন তরুণী। কিন্তু দাম্পত্য অশান্তির জেরে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। বিচ্ছেদের তিন বছর পর মেট্রোয় দেখা হয় তাঁদের। রাগ ভুগে আবারও ঘর বাঁধলেন তাঁরা।
তিন বছর ধরে মুখ দেখা দেখি নেই। এক বছরের আইনি লড়াইতে শেষ হয়েছে সব সম্পর্ক। কিন্তু শেষ বললেই কি আর শেষ হয়! একদিন মেট্রোয় হঠাৎ দেখা হল প্রাক্তণ স্ত্রীর সঙ্গে। কোথায় মুখ ঘুরিয়ে উলটো দিকে হাঁটা দেবেন। বা শুনিয়ে দেবেন দু’টো কড়া কথা। কিন্তু কন্দর্প দেবের যে অন্য কোনও মতলব ছিল! প্রাক্তন স্ত্রীকে অপমান করার বদলে ফের তাঁর প্রেমেই পড়ে গেলেন বছর ২৮-র স্টিভেন।
অফিস কামাই করে প্রাক্তন স্ত্রী অ্যান্ডিকে নিয়ে গেলেন রেস্তোরাঁয় খেতে। দিন শেষে আবারও একসঙ্গে থাকার শপথ নিলেন দু’জনে। আর এই ঘটনার দু’মাসের মধ্যেই ফের বিয়েও সেরে ফেললেন তাঁরা। সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ‘প্রেমের শহর’ প্যারিসে। যেখানে স্টিভেন-অ্যান্ডির প্রেম কাহিনি এখন নেটিজেনদের হট টপিক।
২০১৬-র সেপ্টেম্বরে মার্কিন নাগরিক অ্যান্ডি তিনদিনের শিক্ষামূলক ভ্রমণে গিয়েছিলেন প্যারিসে। সেখানেই আলাপ হয় স্টিভেনের সঙ্গে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে সদ্য চাকরিতে ঢুকেছেন তিনি। প্রথমবার আলাপেই মন দেওয়া-নেওয়া করেছিলেন দু’জনে। শিক্ষামূলক ভ্রমণ শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এলেও স্টিভেনের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়নি অ্যান্ডির।
অন্যদিকে প্রেমিকার টানেই একটি বিমান সংস্থায় চাকরি নেন স্টিভেনও। সেই সুবাদে আমেরিকায় যাওয়ার সুযোগে মিললেই অ্যান্ডির সঙ্গে দেখা করতেন তিনি। এইভাবেই চুটিয়ে প্রেম চালিয়ে গিয়েছেন দু’জনে। ২০১৮-র একেবারে শুরুতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। এরপরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাট চুকিয়ে স্বামীর ঘর করতে প্যারিস চলে আসেন অ্যান্ডি।
কিন্তু বিয়ের পর পরই দু’জনের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। কখনও স্টিভেনের চাকরি নিয়ে, কখনও আবার অ্যান্ডির নানান অভ্যাসকে কেন্দ্র করে বাড়তে থাকে দূরত্ব। প্রায় এক বছরের মাথায় ২০১৯-এ আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন দু’জনে। একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনায় এক বছর ধরে চলে মামলা। ২০২০-তে বিচ্ছেদ হয় তাঁদের।
তার পর থেকে একরকম মুখ দেখাদেখিই ছিল না দু’জনের। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফের প্যারিসের একটি মেট্রোয় দেখা হয় স্টিভেন-অ্যান্ডির। আবারও প্রেমে পড়েন তাঁরা। ফের এক হয় চার হাত।
দাম্পত্যের এই সেকেন্ড ইনিংস আপাতত চুটিয়ে উপভোগ করছেন স্টিভেন-অ্যান্ডি। দু’জনেরই বক্তব্য, “ছোট বয়সে বিয়ে হওয়ায় অনেক কিছুই বুঝতে পারতাম না আমরা। সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া করেছি। কিন্তু বিচ্ছেদের পর এটা অনুভব করি যে, আমরা একে অপরকে ছেড়ে থাকতে পারব না।” তাঁদের এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন মনোবিদরাও।
বাণিজ্যিকভাবে দার্জিলিংয়ের কমলা চাষে বদলে গেল আবু বকরের ভাগ্য
“সামান্য কারণে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনা বর্তমান বিশ্বে আখছার হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন মানুষে মানুষে বাড়ছে স্বার্থপরতা। সম্পর্কের বাঁধন আলগা হলে সমাজেও দেখা দেয় নান সমস্যা। স্টিভেন-অ্যান্ডি সেই রাস্তা থেকে যে ফিরে এসেছেন – তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।” এমনটাই বলছেন মনোবিদরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।