Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার মার্কিন সুপারিশ
    সম্পাদকীয়

    রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রাখার মার্কিন সুপারিশ

    Saiful IslamAugust 22, 20235 Mins Read
    Advertisement

    ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন : সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যান এড কেস ও রিচার্ড ম্যাকরমিক রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বাড়িয়ে এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেন, এই জনগোষ্ঠীর কাজকর্ম কিছু নেই। আপনারা তাদের কাজকর্ম দেন, তাদের অ্যাবজর্ব করে নেন।’

    উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাদের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের অন্য দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন নেই। উন্নত জীবনের জন্য রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। আমাদের এখানে প্রতি বছর গড়ে ২০ লাখ ছেলেমেয়ে মার্কেটে আসছে। তাদের সবাইকে আমরা চাকরি দিতে পারি না। তারা বিদেশে গিয়ে কর্মী ভিসায় কাজ করেন। রোহিঙ্গাদের কিভাবে কাজ দেবো? তারা নিজ দেশে ফেরত যেতে চায়। আমরাও চাই, তারা ফেরত যাক। আপনারাও কিছু নিয়ে যান। আপনারা বলেছিলেন, কিছু নেবেন। একজনকেও নেননি। পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা হচ্ছে রোহিঙ্গারা যেহেতু এখানে বসবাস করছে বাংলাদেশ তাদের গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ মনে করে প্রত্যাবাসন অগ্রাধিকার। আপনারা মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য চেষ্টা করুন। মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয়, তবে তাদের কিছু সমস্যা রয়েছে।’

    পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট ও যৌক্তিক। বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। জাতিসঙ্ঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামেও বিষয়টি নিয়ে বেশ সরব বাংলাদেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের ওপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করছে না। রোহিঙ্গাদের পাইকারি হত্যাযজ্ঞ ও পাশবিকতার তাণ্ডবের বিচার, নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়া ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের ওপর আন্তর্জাতিক মোড়লদের কোনো উদ্যোগ নেই। রোহিঙ্গারা ফিরতে আগ্রহী এবং মিয়ানমার সরকারও তাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক। বিদেশী সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পরামর্শ দেয়, এখনো পরিবেশ তৈরি হয়নি, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পায়নি এই অজুহাতে বাংলাদেশ যেন প্রত্যাবাসনের চেষ্টা না করে। অথচ মাঝখানে অং সান সু চি’র গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ, জনাকীর্ণ ক্যাম্পে এবং ভাসানচরের বিচ্ছিন্ন পল্লীদ্বীপে বসবাস করছে।

       

    যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি স্টেট রয়েছে। বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড। তারা তো ডিভি লটারির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ নিয়ে গেছে বেশ কিছু দিন আগেও। তারা সহজেই রোহিঙ্গাদের নিতে পারে। রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ বোঝেন যে, শরণার্থী ক্যাম্পে উদ্বাস্তু জীবন কোনোক্রমেই সম্মানজনক নয়। মানুষের দয়া, রেশন ও রিলিফ খেয়ে কী সারাজীবন মানুষ বাঁচতে পারে। ক্যাম্পজীবনে রোহিঙ্গা ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা নেই, থাকার সুযোগও নেই। ফলে পুরো একটি জাতি শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আরেকটি অংশ প্রত্যাবাসনে আগ্রহী নয়। মাদক, সন্ত্রাস, ডাকাতি, খুন, গুম ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। বাংলাদেশের ক্যাম্পজীবন তাদের জন্য আশীর্বাদ।

    ১৪ আগস্ট মার্কিন কংগ্রেসের ওই দুজন সদস্যের নেতৃত্ব কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ও কুতুপালং আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করে যুক্তরাষ্ট্রের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের সাথে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ছয় বছর আগে তাদের ওপর সঙ্ঘটিত নির্যাতন-নিপীড়নের কথা প্রতিনিধি দলকে তুলে ধরেন। এ সময় নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা বলেন, আশ্রয়শিবিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই খারাপ, প্রায় সময় খুনখারাবি লেগে থাকে। মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা চলে। মানব পাচার, ধর্ষণ, অপহরণ লেগেই আছে। আগে পরিবারপ্রতি ১০ মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়া হতো। এখন আট ডলার দেয়া হচ্ছে। তাতে কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে।

    পাঁচ বছর আগেও যুক্তরাষ্ট্র সরকার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের পক্ষে ছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে এখন রোহিঙ্গা ইস্যুটি গুরুত্ব পেয়েছিল এখন তারা উল্টো পথ ধরেছেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতা মার্কিন জনসংখ্যা-শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর সহকারী মন্ত্রী সাইমন হেনশ রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন শেষে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যে পরিস্থিতি তিনি দেখেছেন তা ‘অত্যন্ত বেদনাদায়ক’। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াই হবে এই সঙ্কটের সর্বোত্তম সমাধান এবং মিয়ানমারের সরকারকেই দায়িত্ব নিতে হবে। সর্বপ্রথম এটি তাদের দায়িত্ব রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, দ্বিতীয়ত নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা ও খবরের তদন্ত করা ও জবাবদিহির আওতায় আনা তাদের দায়িত্ব, তৃতীয়ত, রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের অবশ্যই তাদের বাসস্থান ও জমিতে ফিরতে দিতে হবে। এ জন্য দ্রুত তাদের বাড়ি ও গ্রাম পুনর্গঠনের ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির পরিদর্শনে আসা বিদেশী প্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গারা বারবার ক্যাম্পজীবনের দুর্ভোগ, জান্তা সরকারের বিচার ও স্বদেশে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানিয়ে আসছেন। মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছেও দ্রুত নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের দাবি জানিয়েছে রোহিঙ্গারা। অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে মার্কিন প্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, ‘ক্যাম্পের আশ্রিত জীবন বন্দী জীবন, দ্রুত স্বদেশে ফিরতে চাই।’ যুক্তরাষ্ট্রকে জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানায় রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গারা উজরা জেয়ার কাছে একটি লিখিত আবেদন দেন। আবেদনে প্রত্যাবাসনের দাবি জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলকে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের অনুরোধ জানানো হয়েছে আবেদনে।

    মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী উত্তর রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগের অভিযান শুরু করার বহু বছর পরেও রোহিঙ্গারা এখনো ন্যায়বিচার এবং তাদের অধিকারের সুরক্ষার অপেক্ষায় আছে। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনিশ্চিত ও বন্যাপ্রবণ ক্যাম্প এলাকায় পালিয়ে এসেছিল জান বাঁচানোর জন্য। প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করছে এমন সব স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন রয়েছে।

    কক্সবাজারের এবং ভাসানচরের ক্যাম্পগুলোতে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে বর্তমানে। অনিবন্ধিত আছে আরো কয়েক লাখ। প্রতি বছর ৩০ থেকে ৫০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। ১৮ কোটি জনসংখ্যার ছোট্ট দেশ বাংলাদেশের জন্য বাড়তি ১৫ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বহন করা অত্যন্ত কঠিন। এ ছাড়া সৌদি আরবে আশ্রয় নেয়া ৪২ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেয়ার জন্য সৌদি সরকার বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে। এককথায় পরিস্থিতি ভয়াবহ। স্থানীয়দের সাথে রোহিঙ্গাদের সুসম্পর্ক নেই। এমতাবস্থায় রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে অ্যাবজর্ব করা হলে সঙ্ঘাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। আর্থ-সামাজিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

    লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক
    [email protected]

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    বাংলাদেশে মার্কিন রাখার রোহিঙ্গাদের সম্পাদকীয় সুপারিশ
    Related Posts

    প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে উপকূলজুড়ে গড়তে হবে সবুজ বেষ্টনী

    August 1, 2025
    Iqbal Karim Bhuiyan

    সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়ার সতর্কবার্তা: ১/১১ এর পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে

    May 24, 2025
    What Is Artificial Intelligence?

    What Is Artificial Intelligence? Details of Modern AI

    February 11, 2025
    সর্বশেষ খবর
    প্রেমিক ও প্রেমিকা

    পুরুষের যে কথাগুলোতে দুর্বল হয়ে যায় মেয়েরা

    ISRAEL

    ইসরায়েলের দখলনীতি বাস্তবায়নে জড়িত ১৫৮ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ

    মেয়েরা মোটা

    ৮টি কারণে বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়

    মাংস রান্না

    মাংস রান্নার সেরা ১০ টিপস, যার স্বাদ আপনার জিভে লেগে থাকবে

    Gorom

    ভ্যাপসা গরম ও বৃষ্টি নিয়ে নতুন খবর

    OG Box Collection Day 3

    OG Box Collection Day 3: Pawan Kalyan Starrer Maintains Momentum at Box Office

    Homebound box office collection

    Homebound Box Office Collection Day 2: Ishaan Khatter-Janhvi Kapoor Starrer Struggles at the Ticket Window

    Charlie Kirk Taylor Swift

    Charlie Kirk Assassination Sparks Renewed Focus on Past Taylor Swift Criticism

    হার্ট অ্যাটাক

    একা থাকাবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত এই কাজটি করুন

    নামাজের সময়সূচি ২০২৫

    নামাজের সময়সূচি: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.