আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর বরাবরের মতো নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় যেসব দেশে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত, বিনিয়োগ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। আবার অনেক সময় প্রতিশোধ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সবশেষ বুধবার ইরান, চীন, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাঁচ সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় বা ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেজারি এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ট্রেজারি বিভাগের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সামরিক ও আক্রমণাত্মক ড্রোন প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য চীন, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরান ভিত্তিক সংস্থা এবং ব্যক্তিদের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রাখতে রাশিয়াকে এই ধরনের অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, পাঁচটি সংস্থা এবং দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে যারা একটি নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে সংবেদনশীল যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করতে সহায়তা করেছে।
এসব ব্যবহার হচ্ছে ইরানের মনুষ্যবিহীন বিমান (ইউএভি) প্রকল্পে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আসা বিশেষ মোটর ইরানের শাহেদ-১৩৬ ড্রোনগুলোতে ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি ইউক্রেনে বিধ্বস্ত একটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ থেকে এমন মোটর উদ্ধার করা হয়।
ফ্রিল্যান্সার রেমিট্যান্সে ১০ শতাংশ উৎসে কর আদায়ে কড়া নির্দেশনা
সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে এই ধরনের ১৩৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। ইরানের তৈরি ইউএভিগুলো রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার ক্ষেত্রে একটি মূল হাতিয়ার হয়ে ওঠেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার মেক্সিকো, কলাম্বিয়ার ১০ মাদক কারবারির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।