আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহতের ঘটনায় হতবাক হওয়ার পাশাপাশি যেন কিছুটা মুষড়েও পড়েছে ওয়াশিংটন। তবে মনে প্রতিশোধের আগুনে জ্বললেও এই মুহূর্তে ইরানের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংঘাতে না গেলেও এক্ষেত্রে অন্য উপায় অবলম্বন করতে পারে বাইডেন প্রশাসন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আলাদা বিবৃতিতে ইরানের সঙ্গে সংঘাতে না জড়ানোর তথ্য নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগন। তবে সেনাদের রক্ষার্থে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ’ নেয়ার কঠোর বার্তা দিয়েছে তারা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার শঙ্কা কেটে গেলেও, যেকোনো মূল্যে এর জবাব দেবে বাইডেন প্রশাসন।
হামাস-ইসরাইল সংঘাতের জেরে গেল প্রায় চার মাস ধরে অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গন। এমন পরিস্থিতিতে আগুনে ঘি ঢেলেছে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রাণঘাতী হামলা। সামরিক বাহিনীর তিন সদস্য নিহতের জেরে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিষোদগারে রীতিমত নড়েচড়ে বসে গোটা বিশ্ব। যুদ্ধ উত্তেজনার অশনি সংকেতও দিচ্ছিলেন অনেকে।
তবে বাইডেন প্রশাসন বলছে, ইরানের সঙ্গে এই মুহূর্তে কোনো সংঘাতে জড়াতে চায় না তারা। মূলত যুদ্ধের বিস্তৃতি এড়াতেই এ সিদ্ধান্ত- এমনটাই দাবি ওয়াশিংটনের। তবে যুদ্ধের আশঙ্কা উড়িয়ে দিলেও, সেনাদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়ার কঠোর বার্তা দিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন।
একই সুরে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও। তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে বহু স্তরে আসবে এর জবাব।
পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিশোধ ছাড়া ইরানকে ছেড়ে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। আর সেক্ষেত্রে এর জবাব দিতে সংঘাত ছাড়াও আরও অনেক বিকল্প রয়েছে বাইডেন প্রশাসনের।
দুর্দান্ত ফিচারের সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে রিয়েলমি নিয়ে এলো নতুন স্মার্টফোন
শিগগিরই ইরানের বিরুদ্ধে আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ ভূখণ্ডের বাইরে ইরানি সেনাদের অবস্থানে হামলা এবং ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর ওপর আক্রমণ আরও জোরদার করতে পারে ওয়াশিংটন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।