আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আরো ৩৭টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিডেন প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর দিয়ে গোয়েন্দা বেলুন ওড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে কয়েকটি গোয়েন্দা বেলুন শনাক্ত হয়। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা সব প্রতিষ্ঠান চীনের।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ বলেছে যে কোম্পানিগুলি দেশটির সেনাবাহিনীর জন্য নজরদারি বেলুন এবং ড্রোন তৈরিতে মার্কিন সামগ্রী ব্যবহার করছে। ফলস্বরূপ, তারা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। এতে চায়না ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপের কিছু ইউনিটও রয়েছে।
রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা এসব চীনা কোম্পানির মধ্যে ২২টি কোম্পানি মার্কিন কোয়ান্টাম প্রযুক্তি খাতের সহায়তা নিয়ে চীনের সামরিক বাহিনীর জন্য ড্রোন তৈরি করেছে।
এছাড়া ১১টি কোম্পানি নজরদারি বেলুন তৈরি করেছে এবং বাকিরা ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে বিভিন্ন উপকরণ সরবরাহ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ ৩৭টি কোম্পানিসহ মোট ৩৫৫ প্রতিষ্ঠান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছে।
এক বিবৃতিতে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অতীতে কোনো প্রেসিডেন্টের আমলে এতসংখ্যক কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। চীনের সামরিক স্বার্থে এসব কোম্পানি মার্কিন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আসছিল।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হবে। ফলে তারা এবং তারা আমেরিকায় কোনো ব্যবস্যা পরিচালনা করতে পারবেন না।
রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে চায়না ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করলেও তাতে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।