যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অচলাবস্থা- অথবা ‘শাটডাউন’- মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। বাজেট বিল নিয়ে কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে লাখ লাখ সরকারি কর্মীর বেতন বন্ধ হয়ে গেছে এবং বন্ধ হয়ে পড়েছে অনেক সরকারি পরিষেবা।
এটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বড় ধরনের শাটডাউন। গত সোমবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে শেষ মুহূর্তের আলোচনা হলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। ফলে সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় সরকারের একাংশ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স শাটডাউনের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করে বলেছেন, ‘আপনি আমেরিকানদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বাজেট আদায় করতে পারেন না।‘
এদিকে, ডেমোক্র্যাটরা পাল্টা অভিযোগ করে বলছে, রিপাবলিকানরা অপ্রয়োজনীয় খাতে বাজেট ছাঁটাই করতে চাওয়ায় সংকট তৈরি হয়েছে।
শাটডাউন চলাকালে জরুরি পরিষেবা যেমন- চিকিৎসা, জাতীয় নিরাপত্তা ও বিমান চলাচল- চালু থাকবে, তবে এসব ক্ষেত্রে নিয়োজিত কর্মীদের বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ৩৫ দিনের শাটডাউন হয়েছিল। এবার শাটডাউন কতদিন চলবে, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে সমঝোতার লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না।
বিশ্লেষকদের মতে, এই অচলাবস্থা দীর্ঘ হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, সরকারি কার্যক্রম ও সাধারণ জনগণের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।