আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন এক নারীর কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৪ লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন দিল্লির এক যুবক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪ কোটি টাকারও বেশি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতারণার শিকার ওই নারীর নাম লিসা রোথ। ২০২৩ সালের ৪ জুলাই মাইক্রোসফটের এজেন্ট পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাকে ফোন করেন। তিনি তাক ৪ লাখ ডলার ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। লিসা বুঝতে পারেননি তিনি প্রতারকের খপ্পড়ে পড়তে যাচ্ছেন।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর ল্যাপটপ হ্যাক করেছিল প্রতারকর। সেখানে একটি নাম্বার ভেসে ওঠে। সেই নাম্বারে যখন লিসা কল করে তখন তাকে বলা হয় যে মাইক্রোসফট থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি যেন তার ব্যাংকে থাকা ৪ লাখ ডলার ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেটে যুক্ত করেন। তিনি তাই করেন।কয়েকদিন পর তিনি যখন ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্টে লগিন করেন, দেখতে পান কোনো ক্রিপ্টোকয়েন সেখানে নেই। বিষয়টি নিয়ে গত বছর ডিসেম্বরে মামলা করেন লিসা। এরপর সেই মামলায় সিবিআইকে যুক্ত করা হয়।
ঘটনার প্রায় এক বছর পর ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি প্রতারক চক্রের একজন দালাল ও একজন সদস্যকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই দালালের নাম লক্ষ্যবিজ। দিল্লির এই বাসিন্দাকে গত বছরের মার্চ থেকে খুঁজছিল পুলিশ। সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যে তদন্তকারী সংস্থাটি কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে এবং ক্রিপ্টো ওয়ালেট ব্যবহারকারীদের জবানবন্দি নিয়েছে। তাদের তদন্ত দেখা যায়, লক্ষ্যই এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা। তার মাধ্যমেই ডলারগুলো ওয়ালেটে যুক্ত করা হয়।
জানা যায়, লিসার কাছ থেকে ডলার নিয়ে প্রফুল গুপ্তা নামে একজন ও তার মা সারিতা গুপ্তার ওয়ালেটে যুক্ত করা হয়। তাদের কাছ থেকে টাকা পাচ্ছিলেন করণ চাগ নামে এক ব্যক্তি। এরপর তারা বিভিন্ন ভুয়া অ্যাকাউন্টে ক্রিপ্টোকারেন্সি যুক্ত করে। সেগুলো ফেয়ার প্লে এর তো বাজির ওয়েবসাইটগুলোতে খরচ করা হয়।
ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে লক্ষ্যবিজের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।