যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী বিদেশি পর্যটকদের জন্য নতুন একটি কঠোর নিয়ম কার্যকরের প্রস্তাব করেছে মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি)। ভ্রমণ অনুমোদনের আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে।

মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে।
প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মঙ্গলবার ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত নথিতে সিবিপি জানায়, ভবিষ্যতে ভ্রমণ অনুমোদনের আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। এর মধ্যে থাকবে সোশ্যাল মিডিয়াসংক্রান্ত তথ্য, গত ১০ বছরে ব্যবহৃত ইমেইল ঠিকানা এবং বাবা-মা, জীবনসঙ্গী, ভাইবোন ও সন্তানদের নাম, জন্ম তারিখ, জন্মস্থান ও আবাসিক ঠিকানা।
খবরে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের জেরে সেই সব পর্যটকেরা প্রভাবিত হবেন, যারা ভিসা মওকুফ কর্মসূচির যোগ্য। এই কর্মসূচি অনুযায়ী ৪২টি দেশের নাগরিকেরা ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন পেলে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন।
বর্তমানে ইএসটিএ আবেদন করার সময় যেসব তথ্য দিতে হয়, তার মধ্যে রয়েছে—একটি ইমেইল ঠিকানা, ফোন নম্বর, বাসার ঠিকানা, জরুরি যোগাযোগের তথ্য। এই অনুমোদনের মেয়াদ সাধারণত দুই বছর। আগেও চালু হয়েছে এমন নজরদারি।
মনোনয়ন না পেয়ে স্যালুট দেওয়া সেই রিকশাচালক সুজনের প্রতিক্রিয়া
সংস্থাটির এই উদ্যোগ একেবারে নতুন নয়। মার্কিন সরকার এর আগেও এইচ-১বি ভিসা (দক্ষ কর্মী) এবং শিক্ষার্থী ও গবেষক ভিসার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে সামাজিক মাধ্যম যাচাইয়ের নিয়ম চালু করেছে। এছাড়া সরকার একটি নতুন ২৫০ ডলারের ‘ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি’ চালুর পরিকল্পনাও করছে, যদিও ভিসা মওকুফ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলোর নাগরিকরা এই ফি থেকে ছাড় পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


