আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমেরিকার কাছ থেকে ৩১টি অত্যাধুনিক ড্রোন কিনছে ভারত। এই ড্রোন গুলো উঁচু পাহাড়ি এলাকায় কাজ করতে সক্ষম।
২০১৮ সাল থেকে এই ড্রোন কেনার জন্য কথাবার্তা চলছিল। মঙ্গলবার দিল্লিতে ড্রোন ক্রয়ে এই চুক্তি হয়। এই ক্ষেত্রে দুই দেশেরই স্বার্থ জড়িত ছিল। ভারত অনেকদিন ধরেই এই ড্রোনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিল। বিশেষ করে এই ড্রোন হাতে পেলে ভারতের উঁচু জায়গায় নজরদারি ও আক্রমণের ক্ষমতা অনেকটা বাড়বে। আর যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ছিল, অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ভারতকে রাশিয়ার কাছ থেকে সরিয়ে আনা এবং চীনের প্রভাবের মোকাবিলার ব্যবস্থা করা।
তাছাড়া বিপুল অর্থের বিনিময়ে ভারত এই ড্রোন কিনছে। ৩১টি ড্রোন কিনতে ভারতের খরচ হবে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন ডলার।
এই ড্রোনগুলো ভারতীয় স্থল ও বিমান বাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনীও ব্যবহার করতে পারবে। কারণ, দুই ধরনের ড্রোনই কিনছে ভারত। নৌবাহিনী এই ড্রোনগুলো ভারত মহাসাগরে ব্যবহার করতে চায়। নৌবাহিনীর জন্য ১৫টি এবং স্থল ও বিমান বাহিনীর জন্য ১৬টি ড্রোন কেনা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস গত সপ্তাহে এই সশস্ত্র ড্রোন কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। গত বছর জুন মাসে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ড্রোন কেনার অনুমোদন দিয়েছে।
গত মে মাসে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও সরসাওনে দুইটি বিমান ঘাঁটিতে বিমান বাহিনীর ড্রোন মোতায়েন করা হতে পারে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী ও স্থলবাহিনী আটটি করে ড্রোন পাবে। এর ফলে লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত চীনের সঙ্গে সীমান্তের পুরোটা এই ড্রোনের আওতায় এসে যাবে। এই ড্রোনগুলি ৩৬ ঘণ্টা উড়তে পারবে, ৪০ হাজার ফিট উচ্চতায় উঠতে পারবে। এই ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও স্মার্ট বোমা ছোড়া যাবে। এছাড়া নজরদারির কাজেও এই ড্রোন ব্যবহার করা যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।