বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : আজকাল বেশির ভাগ দামি স্মার্টফোনে ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটারের হেডফোন জ্যাক থাকে না। এর পরিবর্তে অনেকেই এখন ব্লুটুথ ইয়ারফোন ব্যবহার করেন। অন্যদিকে অডিও শোনার জন্য অনেকেই ইউএসবি-সি পোর্ট ব্যবহার করেন। প্রযুক্তির দিক দিয়ে ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটারের হেডফোন জ্যাকের চেয়ে ইউএসবি-সি পোর্ট আরও আধুনিক ও উন্নত অডিও অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম।
যেমন নতুন আইফোন ও গুগলের পিক্সেল স্মার্টফোনে ইউএসবি-সি অডিও ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মাধ্যমে অডিও ফাইলের গুণগত মান না কমিয়ে সম্পূর্ণ কোয়ালিটি ধরে রেখে অডিও প্লেব্যাক করা সম্ভব। এভাবে বর্তমানে ইউএসবি-সি অডিও আগের ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাকগুলোর বদলে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে।
ইউএসবি-সি অডিও কী?
ইউএসবি-সি উভয় দিকেই ব্যবহারযোগ্য রিভারসিবল ইউএসবি সংযোগ পোর্ট। রিভারসিবল পোর্টের মাধ্যমে মূলত সব ধরনের কাজ করা যায়। বর্তমানে সব নতুন সেলফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেটের জন্য এটি স্ট্যান্ডার্ড চার্জিং পোর্ট হয়ে উঠেছে। ইউএসবি-সি অডিও প্রথম ২০১৫ সালে এলইটিভি লে ১ স্মার্টফোনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে।
২০১৬ সালে ইউএসবি ইমপ্লিমেন্টারস ফোরাম (ইউএসবি আইএফ) ইউএসবি অডিও ডিভাইস ক্লাস ৩ দশমিক ৫ উন্মোচন করে। এ প্রযুক্তিতে ইউএসবি-সি পোর্টের মাধ্যমে উন্নত রেজল্যুশনের অডিও আউটপুট পাওয়া যায়। এখন এটি ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাকের অন্যতম বিকল্প হিসেবে দেখা হয়। ইউএসবি-সি পোর্টের মাধ্যমে ডিভাইসগুলোকে একই সঙ্গে চার্জিং, ভিডিও, অডিও প্লে-ব্যাক ও ফাইল আদানপ্রদান করা যায়।
ইউএসবি-সি অডিও প্রযুক্তি ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার জ্যাকের চেয়ে আলাদাভাবে কাজ করে। ৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক শুধু অ্যানালগ অডিও শোনাতে সক্ষম। সেজন্য স্মার্টফোনগুলো অডিও ফাইলকে ডিজিটাল-টু-অ্যানালগ ফরমেটে রূপান্তর করে নিত। কিন্তু ইউএসবি-সি পোর্টের মাধ্যমে অডিও ডিজিটাল ফরম্যাটে সরাসরি ফাইল আউটপুট করা যায়। এতে অডিও ফাইলের গুণগত মান বজায় থাকে। ফলে ব্যবহারকারীরা আরও ভালো মানের অডিও অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।