আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ায় কমপক্ষে ৬৫ জন নারী ডাকযোগে ব্যবহৃত কনডমসহ উড়ো চিঠি পাওয়ার পর এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব মেলবোর্নের বিভিন্ন ঠিকানায় হাতে লেখা ও টাইপ করা চিঠিগুলো পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
চিঠি পাওয়ার পর যারা এগিয়ে এসেছেন তারা সবাই ১৯৯৯ সালে শহরের কিলব্রেডা কলেজ বালিকা বিদ্যালয়ে পড়েছেন। তাদের বেশিরভাগই একাধিক চিঠি পেয়েছেন, যার সবকটিতে ব্যবহৃত কনডম ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা গ্রান্ট লুইস বলেছেন, অপরাধীকে খুঁজে বের করার জন্য তদন্তকারীরা ডিএনএ এবং হাতের লেখা বিশ্লেষণ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ২৪ বছর আগে ছাত্রী অবস্থায় ওই নারীদের তৈরি করা একটি ইয়ারবুক থেকে তাদের ঠিকানা পাওয়া গেছে।
কিছু চিঠি হাতে লেখা ও কিছু টাইপ করা হলেও সবগুলোতেই ‘হুমকিমূলক এবং যৌনতামূলক’ বার্তা রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে ওই স্কুলের সাথে এই ঘটনার কী সম্পর্ক তা এখনও স্পষ্ট নয়। চিঠি পাঠানো ব্যক্তি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বা কর্মচারী হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
অনেক চিঠিই ওই নারীদের বৃদ্ধাশ্রমের ঠিকানায় পাঠানোর পর তাদের পিতামাতারা খোলেন, যারা এই ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্ত এবং ব্যথিত। কারও কাছে এ ব্যাপারে তথ্য থাকলে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে ভরপুর এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না
কিলব্রেডা কলেজ মেয়েদের জন্য একটি স্বতন্ত্র ক্যাথলিক স্কুল। এটি ১৯০৪ সালে ব্রিগিডিন সিস্টার্স দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এতে প্রায় ৯০০ জন ছাত্র নথিভুক্ত হয়েছে। কলেজটি তদন্তে সহায়তা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অধ্যক্ষ নিকোল ম্যাঙ্গেলডর্ফ মেলবোর্নের হেরাল্ড সান সংবাদপত্রকে বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন ছাত্রদের কাছে চিঠি লিখেছে যাতে অন্য কোনও ভিকটিমদের পুলিশের কাছে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।