সড়ক নির্মাণে ঝামা ব্যবহার! প্রকৌশলী বললেন-‘কাজের মান ভালো’

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় সড়ক নির্মাণ কাজে খোয়ার সাথে ঝামা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। পরিদর্শনে গিয়ে ঝামা ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করলেন উপজেলা প্রকৌশলী।

প্রকৌশলীর দাবি, পিকেটের সঙ্গে কিছু ঝামা থাকতেই পারে। এখানেও ঝামা আছে, তবে পরিমাণ কম।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বৃহত্তর ঢাকা প্রকল্পের আওতায় উপজেলার হরগজ পূর্বনগর-খালপাড় রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার হয়। ১ কোটি ২১ লাখ ৬৩ হাজার ৮০৪ টাকা চুক্তিমূল্যে ৯৬৬ মিটারের এই কাজটি পান মেসার্স জুঁই এন্টারপ্রাইজ।

সড়কটি নির্মাণকাজ শুরু হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সেখানে ভালোমানের খোয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহারের অনুপযোগী ঝামা ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

হরগজ পূর্বনগর গ্রামের আব্দুর রফিক নামের এক ব্যক্তি বলেন, রাস্তাটিতে ভালো খোয়ার সাথে অনেক ঝামা ব্যবহার করা হয়েছে। খোয়া আর ঝামার পরিমাণ আধাআধি হবে।

ঠান্ডু মিয়া নামের আরেকজন বলেন, এখানে ঝামা আর নিম্নমানের খোয়ার পরিমাণ অনেক। এগুলো দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করলে বেশিদিন টিকবে না।

সড়কটির নির্মাণকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার জয়নাল আবেদীনের প্রতিনিধি এমএ নাঈম বলেন, আমরা কোন ঝামা ব্যবহার করছি না। ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে এপ্রুভালের পরই কাজ করা হচ্ছে। আমরা যেটা ব্যবহার করেছি সেগুলোর মান খুবই ভালো। বলা চলে পাথরের বিকল্প।

এ বিষয়ে উপজেল প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম বলেন, এই রাস্তায় পিকেট ধরা হয়েছে। এই কাজে খোয়ার মান অনেক ভালো। এখানে কিছু ঝামা আছে। যার পরিমাণ খুবই কম। বিষয়টি অস্বীকারের সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, আমি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে খোঁজখবর নিচ্ছি। ঝামা ব্যবহার করা হলে সেগুলো উঠিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া হবে।