লাইফস্টাইল ডেস্ক : রোজ নিয়ম করে চুলে তেল মাখেন। ধৈর্যের সঙ্গে শ্যাম্পু করেন। আবার শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশনারও ব্যবহার করেন। কিন্তু কাঠের চিরুনি ব্যবহার করেন না। এখানেই বড় ভুল করে বসেন।
চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে শ্যাম্পু-কন্ডিশনার যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই চিরুনি। কিন্তু চিরুনি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা খুব বেশি সচেতন নই। অথচ, এই জিনিসটাই চুলের দেখভাল করে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্লাস্টিকের চিরুনি ব্যবহার। চিরুনিতে ময়লা জমলে শুধু সেটা নিয়মিত পরিষ্কার করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় চিরুনি বদলানো কিংবা সঠিক চিরুনি ব্যবহারের চল নেই বললেই চলে।
প্লাস্টিকের চিরুনিতে চুল আঁচড়ালে সবচেয়ে বেশি চুল ওঠে। তাছাড়া প্লাস্টিকের চিরুনি ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পে ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন হয় না। উপরন্ত চুলের সমস্যা বাড়তেই থাকে। তাই চুলের যত্নে কাঠের চিরুনি বেছে নিন।
কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। এর জেরে চুলের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছায়। এতে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়ার সমস্যা কমে।
মাথার ত্বক থেকে সেবাম উৎপন্ন হয়। সেই সেবাম যদি চুলের বাকি অংশে না পৌঁছায়, স্ক্যাল্পে জমতে থাকে, তখনই স্ক্যাল্পে তৈলাক্ত ভাব বাড়ে। মাথার ত্বক চিটচিটে হয়ে যায়। কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এই সেবাম স্ক্যাল্পের পাশাপাশি চুলের বাকি অংশে ছড়িয়ে যায়।
স্ক্যাল্পেই খুশকি, মৃত কোষ জমে। প্লাস্টিকের চিরুনি ব্যবহার করলে এসব সমস্যা থেকে বেরোনো যায় না। কিন্তু কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।
প্লাস্টিকের চিরুনি নিয়ে চুলের জট ছাড়ানো বেশ কষ্টকর। কিন্তু কাঠের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে সহজেই চুলের জট ছাড়ানো যায়। পাশাপাশি জট ছাড়াতে গিয়ে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কাঠের চিরুনিতে কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।