লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিশেষজ্ঞদের মতে, টয়লেটে ভিজে পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে ব্যাকটেরিয়া। টয়লেটে যেখানে-সেখানে মোবাইল রেখে দিলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সালমোনেল্লা, ই.কোলাই, সিগেল্লা এবং ক্যামফাইলোব্যাকটরের মতো ব্যাকটিরিয়া।
টয়লেটে বসে ফোন ঘাটার অভ্যেস এখন অনেকেরই। কর্মব্যস্ত জীবনের চাপে বাথরুমে বসে ওই সময়টুকুও তাই নষ্ট করতে চান না কেউ।
তাই বাথরুমে বসেই খবরের পাতায় কিংবা সোশ্য়াল মিডিয়ার দেওয়াল ঢু মাড়েন সর্বত্রই। ২০১৬ সালে একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৪১ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ আমেরিকাবাসী টয়লেটে ফোন ব্যবহার করেন।
এই তালিকায় রয়েছেন ভারতীয়রাও। তবে এই অভ্য়েসের ফলে অজান্তেই শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, টয়লেটে ভিজে পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে ব্যাকটেরিয়া। টয়লেটে যেখানে-সেখানে মোবাইল রেখে দিলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সালমোনেল্লা, ই.কোলাই, সিগেল্লা এবং ক্যামফাইলোব্যাকটরের মতো ব্যাকটিরিয়া।
শুধু তাই নয়, ফোনের টাচস্ক্রিনে বাসা বাঁধতে পারে গ্যাস্ট্রো ও স্ট্যাপের মতো ক্ষতিকারক ভাইরাস। টয়লেটে ফোন ব্যবহারের পর ভাল করে হাত না ধুয়েই খাবার খান অনেকে।
আর এর ফলেই এই সব ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া লালারসের সঙ্গে মিশে ছড়িয়ে পড়ে শরীরে।
টয়লেটে থাকা সালমোনেল্লার মতো ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করলে টাইফয়েডের মোত রোগ হতে পারে।
সুস্থ থাকতে এই ধরনের বদঅভ্যেস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। আর যদি একান্তই ফোন ব্যবহার করতেই হয় টয়লেটে তবে অবশ্যই ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুন। এবং ফোনটি যেখানে-সেখানে রাখবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।