আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সমুদ্র কয়েকদিন ধরেই উত্তাল ছিল। ঢেউ আছড়ে পড়ছিল সমুদ্রসৈকতে। সেই উত্তাল ঢেউয়ের তালে যা ভেসে এল তার পরিচয় পেয়ে পালালেন মানুষজন।
সমুদ্রসৈকতের বালির ওপর কত কিছুই তো পড়ে থাকে। তার অনেকগুলিই পরিচিত, চেনা বস্তু। কিন্তু সেখানেই যদি কোনও অচেনা, অদেখা বস্তু এসে বালিতে আটকে থাকে তাহলে প্রাথমিকভাবে কৌতূহল বাড়ে। সেটাই হয়েছিল। কালো মত ধাতব বস্তুটি কি তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেননা কেউ।
তাই তার আশপাশে ঘুরে চেনার চেষ্টা চলছিল। বিশেষজ্ঞেরা সেটি পরীক্ষার পর কিন্তু যা বলেন তাতে সব কৌতূহল যায় উবে। সকলেই যে যেদিকে পারেন পালান।
খবর যায় বম্ব স্কোয়াডেও। আসলে ওটি একটি বোমা বলে জানান বিশেষজ্ঞেরা। তাও আবার হালফিলের কোনও বোমা নয়। সেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বোমা। এতদিন হয়তো সমুদ্রেই ছিল। সমুদ্র উত্তাল হতে কোনওভাবে তা এসে বালিতে এসে ঠেকে।
এদিকে বম্ব স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞেরা সেটি পরীক্ষা করে আরও বড় সত্য সামনে আনেন। তাঁরা জানান এটি বোমা বটে, কিন্তু আবার বোমা নয়। অর্থাৎ এই বোমার ভিতর কোনও বিস্ফোরক নেই। মানে ফাটার ভয়ও নেই।
তাহলে এই যে বলা হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা! পরে জানা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌসেনা এই বোমাগুলিকে অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করত। যেহেতু এগুলি দিয়ে অনুশীলন হত তাই তাতে বিস্ফোরক থাকত না। ফাটার কোনও সম্ভাবনা রাখা হতনা।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সমুদ্রসৈকতে এই বোমা ঘিরে কৌতূহল এবং প্রাথমিক আতঙ্ক চরমে উঠলেও পরে সবটা জানার পর সকলেই নিশ্চিন্ত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।