বিনোদন ডেস্ক : কত জুটি এলো গেলো কিন্তু রোমান্টিজমের জন্য আজও বাঙালির প্রিয় উত্তম-সুচিত্রাই। সাদা-কালো যুগ পেরিয়ে রঙীন ছবির যুগ এসেছে এমনকি সেলুলয়েড পেরিয়ে বেড়েছে ডিজিটাল ছবির রমরমা। কিন্তু উত্তম-সুচিত্রা আজও স্বমহিমায় উজ্জ্বল। এই জুটিকে নিয়ে উন্মাদনা, নস্টালজিয়া বোধহয় কোনোদিনই শেষ হওয়ার নয়।
একজন মহানায়ক এবং অপরজন মহানায়িকা। পর্দায় বহু তারকার সঙ্গেই জুটি বেঁধেছেন তাঁরা। তবে উত্তম-সুচিত্রা জুটির আলাদাই উন্মাদনা। একসাথে জুটি বেঁধে তাঁরা বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন ৩০টিরও বেশি ছবি, যার প্রত্যেকটিই এক একটি মাস্টারপিস। সমানতালে এই জুটি একসাথে অভিনয় চালিয়ে যান দীর্ঘ ২২ বছর।
তাদের দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কও এতোটাই গভীর ছিল যে, সুচিত্রা উত্তমকে ‘উতু’ আর উত্তম সুচিত্রাকে ‘রমা’ বলে ডাকতেন। বন্ধুত্বের মাঝে চলতো মান অভিমান, ঝগড়াঝাঁটি। এমনকি শোনা যায়, মাঝে দুইজন একসঙ্গে অনেকদিন কাজও করেননি। এমনকি তাদের এই মান অভিমানের কারণেই নাকি ‘সপ্তপদী’ ছবির শুটিং দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল।
তবে শোনা যায় এই সম্পর্কের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় সুপ্রিয়া দেবী এবং গৌরী দেবী। মানুষ উত্তম-সুচিত্রার সম্পর্ককে যতটা শ্রদ্ধার চোখে দেখে ততটাই রসালো আলোচনা চলে উত্তম-সুপ্রিয়ার সম্পর্ক নিয়ে। তাদের সম্পর্ক নিয়ে বহুজনের বহুমত থাকলেও একথা হয়তো খুব কম মানুষই জানেন যে, সুচিত্রা সেনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মহানায়ক।
জানা যায়, সুচিত্রা সেনের বাড়িতে এক সন্ধ্যায় উত্তম যখন সুচিত্রাকে বলেছিলেন, “রমা, তোমার সঙ্গে যদি আমার বিয়ে হতো!’ প্রতুত্তরে সুচিত্রা বলেছিলেন, ‘একদিনও সেই বিয়ে টিকত না। তোমার আর আমার ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত স্বতন্ত্র। সেখানে সংঘাত হতোই। তার ওপর, তুমি চাইবে তোমার সাফল্য, আমি চাইব আমার। এ রকম দুজন বিয়ে করলে সে বিয়ে খুব বাজেভাবে ভেঙে যেত।”
তাদের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কলকাতার এক নামীদামী ম্যাগাজিন লিখেছিলো যে, উত্তম যেদিন মারা যান সেদিন মধ্যরাতে মালা হাতে তাঁকে শেষ অর্ঘ্য দিতে এসেছিলেন সুচিত্রা। সেই দৃশ্য আজও ভোলার নয়। লোকমুখে শোনা যায় উত্তম কুমারের মৃত্যুর পরই নিজেকে লোকচক্ষুর অন্তরালে সরিয়ে নেন মহানায়িকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।