বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : সম্প্রতি উত্তর আমেরিকার ভূভাগে এক বিস্ময়কর ভূতাত্ত্বিক গঠন আবিষ্কৃত হয়েছে—একটি প্রায় ৪০০ মাইল দীর্ঘ ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ, যা এক অজানা ও প্রবল শক্তির উৎস হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই সুড়ঙ্গটির মধ্য দিয়ে একটি টেকটনিক প্লেট ধীরে ধীরে স্থান পরিবর্তন করছে, যার ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপাদানগুলো নিচের দিকে টেনে নেওয়া হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে কাজ করছে এক বিপুল আকর্ষণশক্তি, যা এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে আশেপাশের অঞ্চলকে প্রভাবিত করছে। মিশিগান থেকে শুরু করে আলাবামা পর্যন্ত বিস্তৃত এই ভূগর্ভস্থ গঠন প্রতিনিয়ত তার চারপাশের মাটি, পাথর ও অন্যান্য উপাদান নিজের গভীরে টেনে নিচ্ছে।
স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, কারণ প্রতিনিয়ত এই সুড়ঙ্গ তার পরিধি ও গভীরতা বাড়াচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ করছেন গবেষকেরা। কেউ কেউ এই অঞ্চল ঘুরে এসে জানিয়েছেন, সেখানে পৌঁছালে এক ধরনের অদ্ভুত আকর্ষণ অনুভব করা যায়—যেন কোনো গোপন শক্তি সবাইকে নিজের দিকে টানছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই ভূগঠনের প্রভাবে অঞ্চলটির মাটি ধীরে ধীরে ধসে পড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে আগামীতে ওই এলাকার ভূত্বক গঠনে বড় পরিবর্তন আসতে পারে এবং ঘটতে পারে ভূমিকম্পসহ বড় ধরনের পরিবেশগত বিপর্যয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গটির অভ্যন্তরে যে টেকটোনিক প্লেট স্থান পরিবর্তন করছে, সেটি ভূতাত্ত্বিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এর প্রভাবে এক ধরনের রহস্যময় টান সৃষ্টি হয়েছে, যা নিকটবর্তী সবকিছুকে ধীরে ধীরে নিজের দিকে টেনে নিচ্ছে।
তারা সতর্ক করেছেন, এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই এই সুড়ঙ্গের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং এর প্রভাব পড়বে পরিবেশের ওপরও। এ নিয়ে আরও গবেষণা চলছে এবং ভবিষ্যতে এর ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



