জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের উজিরপুরের হারতা এলাকায় সন্ধ্যার শাখা কঁচা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকা বাইচ দেখতে নদীর দুই তীরে ভীড় করে হাজার হাজার উৎসুক মানুষ। প্রতি বছর লক্ষ্মীপূজার দিন এই নৌকা বাইচের আয়োজন করে আসছে হারতা বাজার পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ। এবার ছিল ১৬৪তম নৌকা বাইচ।
নৌকা বাইচ আয়োজন কমিটির সভাপতি হারতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমল মল্লিক জানান, এবার রাজৈর, মাদারীপুর, পয়সারহাট ও হারতা এলাকার ৫টি সুসজ্জিত নৌকা ১৬৪ তম বাইচে অংশগ্রহন করে। পূর্ব দিকে হারতা বাজার তারের খাম্বা থেকে পশ্চিমে হারতা স্কুল এন্ড কলেজ পর্যন্ত কঁচা নদীতে ৩ ছোপ (বার) নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। ৩ বারের বাইচে প্রথম স্থান অধিকার করেন রাজৈরের রাজ রাজা ফলিয়া ও তার দল, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন মারাদীপুরের অমল সরকার এবং তৃতীয় হন মাদারীপুরের অমল বাকচী। এছাড়া পায়সারহাটের বিমল সিকদার চতুর্থ ও হারতার বিজয় দাস পঞ্চম স্থান অধিকার করেন। নদীর দুই তীরে লাখ মানুষ এই নৌকা বাইচ উপভোগ করে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান অমল মল্লিক।
শেষ বিকেলে কঁচা নদীর দক্ষিন পাশে হারতা স্কুল এলাকায় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহেআলম। ইউপি চেয়ারম্যান অমল মল্লিকের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা এবং উজিরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজীন।
প্রথম স্থান অধিকারী রাজ রাজা ফলিয়া ও তার দলকে একটি ৪০ সিএফটি রেফ্রিজারেটর, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী অমল সরকারের দলকে ৪২ ইঞ্চি স্মার্ট এলইডি টিভি ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে ৩২ ইঞ্চি এলইডি স্মার্ট টেলিভিশন উপহার দেয়া হয়।
হারতার সাবেক চেয়ারম্যান সুনীল বিশ্বাস জানান, প্রতি বছর লক্ষ্মীপূজার দিন এই নৌকা বাইচের আয়োজন করেন তাদের পূর্ব পুরুষরা। বর্তমান প্রজন্ম এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। বিনোদন বঞ্চিত বিলাঞ্চলের মানুষ প্রতি বছর এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন। কঁচা নদীর দুই তীরে, হারতা ব্রীজের উপরে, নৌকা-ট্রলারে, উচু ভবনে এবং গাছে উঠে লক্ষাধীক মানুষ এবারের নৌকা বাইচ উপভোগ করে। বাইচকে কেন্দ্র করে হারতা বাজারে এক মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় হরেক পণ্য বিকিকিনি হয়।
এদিকে নৌকা বাইচ এবং মেলা উপলক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। এছাড়া নদীতে দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য প্রস্তুত রাখা হয় নৌ-ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।