বিনোদন ডেস্ক: ছিলেন কৃষক। কিন্তু কথায় ছিল রসে ভরা। পারতেন মানুষ হাসাতে। তাই তো ধীরে ধীরে বনে গেলেন কৌতুক অভিনেতা। নিজ গুণে তিনি গ্রাম ছাড়িয়ে পরিচিতি পেলেন সারাদেশে। গ্রামবাসী তাকে একসময় চিনতেন আহসান আলী নামে। তবে তার নতুন পরিচয় হয় অভিনীত চরিত্র ভাদাইমা নামে। দেশবাসী এই নামেই চিনতেন ওই প্রাক্তন কৃষককে।
গতকাল রবিবার (২২ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাদাইমাখ্যাত এই ব্যক্তিটির মৃত্যু হয়। দীর্ঘদিন যাবত ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে গ্রামের মানুষদের হাসি ঠাট্টা নিয়ে মাতিয়ে রাখতেন তিনি। তৈরি করতেন ভিডিও চিত্রও। সেসব প্রকাশ করতেন ইউটিউবে। যা দেখা হয়েছে কোটিবারের বেশি।
সিডির যুগে প্রথম টাঙ্গাইলের ফরিদ আহমেদ সাথী পরিচালিত কৌতুক অ্যালবাম ভাদাইমা ক্যাসেট দেশ ও বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। যা কৌতুকের ক্যাসেটের জগতে সর্বোচ্চ বিক্রি হয়। মিউজিক হ্যাভেন নামে একটি প্রতিষ্ঠান ঢাকা থেকে সিডিটি বাজারজাত করে।
ফরিদ আহমেদ সাথী’র পরিচালনায় কৌতুক সম্রাট আহসান আলী ভাদাইমা নামে প্রথম প্রকাশ পায় এই সিডির মাধ্যমে। ভাদাইমা নাম অর্জন করার পর তাঁর হাস্য-রসের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে ও দেশের বাইরে। আহসান আলী ভাদাইমার অভিনীত প্রথম এই সিডির ব্যবস্থাপনায় ছিলেন আব্দুল মান্নান ও চিত্রগ্রহণে ছিলেন বিপুল খন্দকার।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফজাল হোসেন বলেন, দাইন্যা ইউনিয়নের রামপাল গ্রামে আহসান আলীর জন্ম ও বেরে ওঠা। গতকাল রবিবার (২২ মে) রাতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে আহসান আলী গ্রামের সঙযাত্রা মঞ্চনাটক করত। এরপর এলাকায় পরিচিতি পায় আহসান আলী। পরে ফরিদ আহমেদ পরিচালিত প্রকাশিত হয় সিডি অ্যালবাম ভাদাইমা। সেই অ্যালবামে প্রধান কমেডিয়ানের চরিত্রে অভিনয় করেন আহসান আলী। সেখান থেকেই দেশ ও বিদেশে পরিচিতি লাভ করে ভাদাইমা হিসেবে। ভাদাইমা অ্যালবামের সব থেকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিয়ার গ্যারা নামের পর্বটি।
ক্যানসার নিয়ে ১০ বছর বিনোদন দিয়েছেন ‘ভাদাইমা’, ছেলেকে বানিয়েছেন কোরআনে হাফেজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।