সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হঠাৎ জলাতঙ্ক রোগের র্যাবিস ভ্যাকসিনের সঙ্কট দেখা গেছে। ফলে বিনামূল্যের এ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। বাইরে থেকে নিজেদের টাকায় ভ্যাকসিন কিনে আনতে হচ্ছে রোগীদের। এতে কুকুর-বিড়ালে কামড়ানো রোগী ও স্বজনদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, কুকুর ও বিড়ালে কামড় বা আঁচড় দেয়া রোগীরা ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য ভিড় করে আছেন। ভ্যাকসিন সেবা প্রদানকারী রুমের দরজায় জলাতঙ্ক রোগীর ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ আছে জানিয়ে একটি নোটিশ ঝুলিয়ে রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেবাদানকারী নার্সরা রোগী ও স্বজনদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনার কথা বলছেন।
সিংগাইর উপজেলার খোয়ামুড়ী গ্রাম থেকে আসা সিয়াম হোসেন নামের এক রোগীর বাবা কুরবান আলী বলেন, ছেলেকে কয়েকদিন আগে কুকুরে আঁচড় দিয়েছে। সদর হাসপাতাল থেকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিলেও আজ দ্বিতীয় ডোজ বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। পরে চারজনে মিলে ৫২০ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কিনে এনেছি।
ঘিওরের তরা গ্রাম থেকে আসা রজ্জব আলী নামের আরেকজন বলেন, আমর নাতনী সাবিহাকে (৩) গতকাল একটি বিড়ালে আচড় দিয়েছে। সদর হাসপাতালে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয় শুনে এখানে এসেছি। কিন্ত এসে দেখি ভ্যাকসিন নাই। পরে বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে। এত বড় একটা হাসপাতাল, অথচ এখানে ভ্যাকসিন নাই।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ত্বাবধায়ক ডা: মো: বাহাউদ্দিন বলেন, আমাদের সবসময় ভ্যাকসিন সরবরাহ থাকে। কিন্ত গত কয়েকদিনে হঠাৎ কুকুর ও বিড়ালে কামড়ানো রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এক দিনের জন্য এ সঙ্কট পড়েছে। আমরা ইতোমধ্যে চাহিদাপত্র ডিজি অফিসে পাঠিয়েছি। রবিবার ভ্যাকসিন সরবরাহ পাওয়ার পর থেকে আবারো বিনামূল্যে হাসপাতালের ভ্যাকসিন দেয়া যাবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার সকাল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত একদিনেই মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় ৮৮ জনকে কুকুরে কামড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে গত ৪০ দিনে ১৪৩৯ জন রোগী জলাতঙ্ক রোড়ের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনেই ৩৮০ জন রোগী এ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।