লাইফস্টাইল ডেস্ক : চা বলতে সচরাচর সুগন্ধযুক্ত ও স্বাদবিশিষ্ট এক ধরনের উষ্ণ পানীয়কে বোঝায় যা চা পাতা পানিতে ফুটিয়ে বা গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরী করা হয়। চা গাছ থেকে চা পাতা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই পাতা ভেজাল নাকি ভালো সেটা চেনার ৩ উপায় রয়েছে।
আসলে আমরা সবাই দোকান থেকে নানা ব্র্র্যান্ডের চা পাতা কিনে আনি। তবে সব চা পাতা কিন্তু ভালো নয়। এর মধ্যেই অনেক চা পাতার সঙ্গে মেশানো থাকে ভেজাল।
বাজারে এমন অনেক চা পাতা পাওয়া যায়, যেগুলোতে রং বা অনেক ধরনের রাসায়নিক মেশানো থাকে। ভেজাল চা দীর্ঘদিন ধরে পান করলে স্বাস্থ্যের উপরও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
তাই জেনে রাখা জরুরি যে আপনি যে চা পান করছেন তা কি আসল নাকি ভেজাল মিশ্রিত? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক চা পাতার ভেজাল চেনার উপায়-
১. চা পাতায় ভেজাল আছে কি না শনাক্ত করতে প্রথমে একটি টিস্যু পেপারে ২ চা চামচ চা পাতা রাখুন। এরপর পাতায় কয়েক ফোঁটা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রোদে রাখুন।
তারপর টিস্যু পেপার থেকে চা পাতা তুলে ফেলুন। চা পাতায় ভেজাল থাকলে টিস্যু পেপারে দাগের চিহ্ন দেখা যায়। কোনো দাগ বা চিহ্ন যদি না থাকে তাহলে বুঝবেন চা পাতায় ভেজাল নেই।
২. আরেকটি উপায় হলো, এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে ১-২ চা চামচ চা পাতা দিয়ে ১ মিনিট রেখে দিন। পানিতে কিছুক্ষণের মধ্যে রং বের হলে বুঝবেন চা পাতায় ভেজাল আছে। আসল চা পাতার রং এত তাড়াতাড়ি বের হয় না। তাও আবার ঠান্ডা পানিতে!
৩. চা পাতা আসল নাকি নকল পরীক্ষা করার আরও একটি উপায় হলো হাতে চা পাতা নিয়ে ১-২ মিনিট ঘষুন। হাতে কোনো রং দেখলে বুঝবেন চা পাতায় কিছু মেশানো আছে।
চা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেনসিস। ‘চা পাতা’ কার্যত চা গাছের পাতা, পর্ব ও মুকুলের একটি কৃষিজাত পণ্য যা বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়। সর্বোচ্চ চা রফতানি কারক দেশ হল বাংলাদেশ।
ইংরেজিতে চা-এর প্রতিশব্দ হলো টি (tea)। গ্রিকদেবী থিয়ার নামানুসারে এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল। চীনে ‘টি’-এর উচ্চারণ ছিল ‘চি’। পরে হয়ে যায় ‘চা’।
পানির পরেই চা বিশ্বের সর্বাধিক উপভোগ্য পানীয়। এর একধরনের স্নিগ্ধ, প্রশান্তিদায়ক স্বাদ রয়েছে এবং অনেকেই এটি উপভোগ করে। প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া অনুসারে চা-কে পাঁচটি প্রধান শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যেমন – কালো চা, সবুজ চা, ইষ্টক চা, উলং বা ওলোং চা এবং প্যারাগুয়ে চা।
এছাড়াও, সাদা চা, হলুদ চা, পুয়ের চা-সহ আরো বিভিন্ন ধরনের চা রয়েছে। তবে সর্বাধিক পরিচিত ও ব্যবহৃত চা হল সাদা, সবুজ, উলং এবং কাল চা। প্রায় সবরকম চা-ই ক্যামেলিয়া সিনেনসিস থেকে তৈরি হলেও বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুতের কারণে এক এক ধরনের চা এক এক রকম স্বাদযুক্ত। পুয়ের চা একধরনের গাঁজনোত্তর চা যা অনেক ক্ষেত্রে ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ক্যামেলিয়া সিনেনসিস বিহীন এক কাপ চা। এক্ষেত্রে চা তৈরীর জন্য অপরাজিতা ফুল ব্যবহার করা হয়েছে কিছু কিছু চায়ে ক্যামেলিয়া সিনেনসিস থাকে না। ভেষজ চা হল একধরনের নিষিক্ত পাতা, ফুল, লতা ও উদ্ভিদের অন্যান্য অংশ যাতে কোন ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নেই।
লাল চা সাধারণত কাল চা (কোরিয়া, চীন ও জাপানে ব্যবহৃত হয়) অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার রুইবস গাছ থেকে তৈরি হয় এবং এতেও কোন ক্যামেলিয়া সিনেনসিস নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।