লাইফস্টাইল ডেস্ক : রোজাদাররা খেজুর খেতে পছন্দ করেন। তাই রমজানে খেজুরের চাহিদা বাড়ে। এই চাহিদাকে মাথায় রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে চিনি মিশিয়ে বিক্রি করে ভেজাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর। খেজুরের মিষ্টি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। তবে খেজুরে কৃত্রিমভাবে মেশানো চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাজার থেকে খেজুর কেনার সময় অবশ্যই দেখে কিনতে হবে। কারণ পচা, চিনি মেশানো ও মেয়াদ উত্তীর্ণ খেজুর খেলে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।
ভালো খেজুর চেনার নানা ধরনের উপায় রয়েছে। তবে চারটি প্রধান উপায়ে খেজুরে কৃত্রিমভাবে মিষ্টি মেশানো আছে কিনা তা জানা সম্ভব। চলুন জেনে নিই উপায়গুলো সম্পর্কে।
১. মিষ্টির মাত্রা যাচাই
প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি খেজুরে মিষ্টি মাত্রারিক্ত হয় না। যাদের মিষ্টি খুব বেশি পছন্দ না তারাও খেতে পারেন খুব সহজে। কিন্তু যখন অনেক বেশি পরিমাণে মিষ্টি মনে হয় তখন বুঝতে হবে এতে অবশ্যই কৃত্রিমভাবে মিষ্টি মেশানো হয়েছে।
২. পিঁপড়াদের আকর্ষণ
খেজুরে যদি কৃত্রিমভাবে মিষ্টি মেশানো হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই পিঁপড়াদের অনেক বেশি আকর্ষণ করবে। খোলা জায়গায় একটা খেজুরকে রেখে দিন। যদি পিঁপড়া দেখতে পান আশেপাশে তাহলেই বুঝবেন কৃত্রিমভাবে মিষ্টি দেওয়া রয়েছে। কারণ প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান যে মিষ্টি খেজুরে থাকে তা কোনোক্রমেই পিঁপড়াদের আকৃষ্ট করবে না। যদি না তাতে কৃত্রিম চিনি বা মিষ্টি মেশানো হয়।
৩. খেজুরে ভেতরে মিষ্টি
যে খেজুরগুলো প্রাকৃতিক ভাবে মিষ্টি তাদের বাহিরের অংশ তুলনামূলক মিষ্টি হয়না। ভেতরের অংশ অনেক বেশি মিষ্টি হয়ে থাকে। খেজুর মুখে নেওয়ার পর ও খাওয়ার সময়ের মিষ্টি কম বেশি হলে বুঝতে হবে সেখানে কৃত্রিম কিছু আছে।
৪. সতেজ ও তাজা খেজুরের চামড়া সাধারণত একটু কুঁচকানো হবে। তবে শক্ত হবে না। আবার উপরের চামড়াও বেশি নরম হবে না। উপরের চামড়া হবে চকচকে ও উজ্জল।
আবার খেজুরের গায়ে কোনোভাবেই স্ফটিকযুক্ত চিনি বা দানাদার কিছুর উপস্থিতি থাকবে না। যদি খেজুরের বাইরে তেল বা পাউডারজাতীয় কিছুর উপস্থিতি দেখেন তাহলে বুঝবেন সেটি ভেজাল, মানহীন কিংবা নিম্নমানের খেজুর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।