আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কী দিন, কী রাত বেশির ভাগ সময়েই ছেলেকে অঙ্ক অনুশীলন করিয়ে গিয়েছেন। এ ভাবে এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন বাবা।
ছেলে অঙ্কে ৫০-এর মধ্যে ৪০ পেত। ৯০-এ ৮০ পেত। ছেলের এই নম্বর যেন বাবার কাছে অনেকটাই কম বলে মনে হচ্ছিল। কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না। ছেলে যাতে আরও ভাল করে, তার জন্য নিজেই তাকে অঙ্ক শেখানোর দায়িত্ব নিলেন।
কী দিন, কী রাত, বেশির ভাগ সময়েই ছেলেকে অঙ্ক অনুশীলন করিয়ে গিয়েছেন। এ ভাবে এক বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন বাবা। তাঁর শেখানো পাঠ নিয়েই স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষায় বসেছিল ছেলে। বাবা ভেবেছিলেন ছেলে এ বার অঙ্কে একশোতে একশোই পাবে।
কিন্তু সেই ভাবনা যে ভুল ছিল, পরীক্ষার ফল বেরোতেই টের পেলেন তিনি। রেজাল্ট হাতে নিয়ে সব বিষয়ে চোখ বোলাতেই অঙ্কের জায়গায় এসে চোখ আটকে গেল। নম্বর দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না বাবা। অঝোরে কেঁদে ফেললেন। ঘটনাটি চিনের ঝেংঝৌয়ের।
না, অঙ্কে ভাল ফল করার জন্য কাঁদেননি তিনি। এক বছর ধরে অঙ্ক নিয়ে যে ভাবে ছেলের জন্য খেটেছিলেন, তার পরেও সেই ছেলে অঙ্কে ১০০ মধ্যে নম্বর পেয়েছে মাত্র ৬। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “ ছেলের জন্য এক বছর ধরে খাটলাম, আমার সব খাটুনি বিফলে গেল। কার জন্য এত খাটলাম? এই নম্বর পাবে বলেই কি এত খেটেছিলাম?” এর পরই তিনি বলেন, “আর নয়, এ বার থেকে ওর ভাল-মন্দের বিষয় নিজেই বুঝে নিক।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।