বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : যদিও সবটাই নির্ভর করবে গ্রহাণুর গতিবিধির ওপর। যদি পৃথিবীর কান ঘেষে বেরিয়ে যায় সেক্ষেত্রে রক্ষা পেতে পারে। নয়তো সমূহ বিপদ। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব জুড়েই উদযাপিত হতে চলেছে ভ্যালেনটাইন্স ডে। কিন্তু চিন্তায় কাটতে চলেছে সেই দিন। আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সেই দিন পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে এক গ্রহাণু। যদি পৃথিবীতে তা আছড়ে পড়ে, তাহলে ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে।
যদিও সবটাই নির্ভর করবে গ্রহাণুর গতিবিধির ওপর। যদি পৃথিবীর কান ঘেষে বেরিয়ে যায় সেক্ষেত্রে রক্ষা পেতে পারে। নয়তো সমূহ বিপদ। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে গ্রহাণু 2023 CP পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। যদিও এর দূরত্ব হতে পারে ৪.০৯ মিলিয়ন মাইল। কিন্তু নাসার তরফে এটিকে ‘ক্লোজ অ্যাপ্রোচ’ বলা হয়েছে।
sky.org এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পৃথিবীর দিকে ঘণ্টায় প্রায় ১২ হাজার ৩৪১ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসছে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) এই গ্রহাণুগুলিকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু হিসাবেই বলে থাকে।
তবে কেবল এই গ্রহাণুটিই নয়। আরও একাধিক গ্রহাণু এ বছর ধেয়ে আসতে পারে বলে জানান হয়েছে। যেমন ৬ হাজার ২৩০ ফুট চওড়া গ্রহাণু যা বুর্জ খলিফার থেকেও দ্বিগুণ বড়, তা আসতে পারে পৃথিবীর কাছাকাছি। এ বছরের নভেম্বরে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে আসতে চলেছে।
NASA দুটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই গ্রহাণুগুলিকে ট্র্যাক করে। NASA-এর গ্রহাণু টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (ATLAS) রাতের আকাশ স্ক্যান করে সম্ভাব্য গ্রহাণু সনাক্তকরণের কাজ করে। মানমন্দিরগুলি যেমন গ্রহাণু এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সনাক্ত করতে ইনফ্রারেড সেন্সর ব্যবহার করে। এর মধ্যে কয়েকটির মধ্যে রয়েছে Wide-field Infrared Survey Explorer (WISE) এবং NEOWISE মিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।