জুমবাংলা ডেস্ক : দেশজুড়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম এত বাড়াতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা। এতে বাজারে চাহিদা বেড়েছে ভাঙা ডিমের। এই সুযোগে ভালো ডিমের পাশাপাশি দাম বেড়েছে ভাঙা ডিমেরও। ডিমের বাজার চড়া হওয়াতে স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভাজি খাওয়ার জন্য ভাঙা ডিম কিনছেন। এছাড়াও ফুটপাতে থাকা অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ভাঙা ডিম কিনতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুরের কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির সাদা এক বান্ডিল ডিম পাইকারিতে বিক্রেতারা কিনেছেন ১৩০০ টাকায়। আর লাল ডিম কিনেছেন ১৩২০ টাকায়। এক বান্ডিলে মোট ৩৬০টি ডিম থাকে। আর তারা এক ডজন ডিম বিক্রি করছেন ১৭০ টাকায়। এতে একটি ডিমের দাম দাঁড়াচ্ছে ১৪ টাকা ১৬ পয়সা। ডিমের লাফিয়ে বাড়ার কারণে স্বল্প আয়ের অনেককেই ভাঙা ডিম কিনতে গেছে। এই সুযোগে দোকানিরাও ভালো ডিমের পাশাপাশি ভাঙা ডিমের দাম হালিতে বাড়িয়েছে ১০ টাকা। গত এক সপ্তাহ আগেও ভাঙা ডিম বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকা হালিতে। কিন্ত এখন ভাঙা ডিমের দাম হালিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের রেলগেটের পাশেই থাকেন আমেনা বেগম। মাছের আঁশ বিক্রি করে চলে তার সংসার। ভালো ডিমের দাম বাড়ার কারণে ভাঙা ডিম কিনতে আসেন। তিনি জানতেন ভাঙা ডিম হয়তো আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাজারে এসে শুনলেন ভাঙা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালিতে। ভালো ডিমের দাম বাড়তি হওয়ায় তিনি ৩৫ টাকায় ভাঙা দুই হালি ডিম কিনলেন।
তিনি বলেন, ‘এই ডিমগুলো ভাজি হিসেবে খাওয়া যায়। অল্প ভাঙা হওয়ায় তেমন সমস্যা হয়না। ভালো ডিমের হালির থেকে ২০ টাকা কমে এই ডিম পাওয়া যায়। তাই এই ডিম কিনলাম। আমাদের আয় যেমন তেমন খরচ করতে হয়। মাছ-মাংসের সঙ্গে এখন ব্রয়লার মুরগির দামও বাড়তেছে যে হারে তাতে ভালো কিছু খাওয়া খুবই কঠিন।’
কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘পাইকারিতে ডিম আনার সময় অনেক ডিম ভেঙ্গে যায়। এসব ডিম আমরা আলাদা করে রেখে দেই। স্বল্প আয়ের অনেকেই এখন এই ডিম কিনছেন। ব্রয়লার লাল ও সাদা ভাঙা ডিম ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি। ডিমের বাড়তি হওয়ার কারণে আমরাও ডিমের দাম বাড়াতে বাধ্য হই। স্বল্প আয়ের মানুষের পাশাপাশি অনেক ফুটপাতের দোকানি এই ডিম কিনে থাকেন। মূলত কেক বানানোর ক্ষেত্রে এই ডিমগুলোর চাহিদা বেশি।’
ডিমের দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক বিক্রেতা বলেন, ‘ডিমের উৎপাদন আগের থেকে অনেক কম। সম্প্রতি বন্যার কারণে ফেনীসহ কয়েকটি জেলার একাধিক খামার তলিয়ে যায়। এই প্রভাব ডিমের বাজারের উপর পড়েছে। আমরা পাইকারিতে ডিম আনার সময় চাহিদা মতো ডিম পাচ্ছি না। এতেই বোঝা যাচ্ছে ডিমের দাম কম। এখানে সিডিন্ডকেটের কিছু নেই। উৎপাদন না থাকলে ডিম কই থেকে আসবে বলেও জানান তারা।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।