সুনামগঞ্জ শহরে সময়মতো বাসাভাড়া পরিশোধ না করায় এক ভাড়াটিয়া পরিবারকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিক ইউসুফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তায় মুক্ত হয়েছেন ওই পরিবারের সদস্যরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে শহরের রায়পাড়া আবাসিক এলাকার ১৮ নম্বর বাড়িতে।
ভাড়াটিয়া ইমন বর্মণ জানান, তিনি ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ইউসুফ চৌধুরীর বাড়ির একটি কক্ষ মাসিক ৬ হাজার ২০০ টাকায় ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। প্রতিমাসে ৫ তারিখের মধ্যে ভাড়া পরিশোধের নিয়ম থাকলেও চলতি মাসে পারিবারিক সমস্যার কারণে ৮ তারিখেও ভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি।
এ সময় সকালে বাড়ির মালিক এসে দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যান। তালাবদ্ধ ঘরে ইমনের স্ত্রী, মা জবা বর্মণসহ অন্তত ৬ জন আটকা পড়েন। দুই দিন আগে রান্নাঘরের গ্যাস সংযোগও বন্ধ করে দেন মালিক।
তালাবদ্ধ অবস্থায় ৯৯৯-এ ফোন দেন ইমনের ফুপাতো বোন লিপি। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তালা খুলে তাদের মুক্ত করে।
ইমনের মা জবা বর্মণ বলেন, ‘ভাড়ার টাকা আজই দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ১ হাজার টাকা কম থাকায় মালিক টাকা নেননি। উল্টো গালাগালি করে দরজায় তালা মেরে দেন।’
ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেশী স্বপন চন্দ্র শীল বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত তাদের ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। এটা অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’
অভিযোগ অস্বীকার করে মালিক ইউসুফ চৌধুরী বলেন, ‘ইমনের পরিবার নিয়মিত ভাড়া দেয় না। তাই বাসা ছাড়ার কথা বলেছিলাম। কিছু সময় তালা দিয়েছিলাম, পরে খুলে দিয়েছি।’
সদর মডেল থানার এসআই জুলহাস বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা গিয়ে তালা খোলার ব্যবস্থা করি। উভয়পক্ষের আলোচনায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
পরবর্তীতে উভয় পক্ষের আলোচনায় জুলাই-আগস্ট মাসের ভাড়া মওকুফ করে সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখে বাসা ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, ইমন বর্মণ শহরের পৌর বিপণি এলাকায় ঝালমুড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন এবং বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।