আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঘটনাটি ভারতের উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির একটি স্কুলের। সেখানে ক্লাসের মধ্যে বসেই পর্নোগ্রাফি দেখছিলেন এক শিক্ষক! শিক্ষকের এই কুকীর্তি ধরে ফেলেছিল এক খুদে পড়ুয়া। আর এরই জেরে ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, শিক্ষকের ক্লাসে বসে পর্ন ভিডিও দেখার বিষয়টি সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করতেই তারা হাসাহাসি শুরু করে। এতেই রেগে যান শিক্ষক। এতে অল্পবয়সী ওই ছাত্রের চুলের মুঠি ধরে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের ঝাঁসিতে ঘটা এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম কুলদীপ যাদব। তাকে ইতোমধ্যেই হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্লাসে বসেই অশ্লীল ভিডিও দেখছিলেন তিনি।
একপর্যায়ে অল্পবয়সী এক ছাত্র উঁকি মেরে তা দেখে ফেলে। এরপর আরও কয়েক জন ছাত্র শিক্ষকের এই কীর্তি দেখতে পায়। পরে তারা ক্লাসের মধ্যেই হাসাহাসি শুরু করে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষক। একপর্যায়ে রাগের মাথায় তিনি ওই ছাত্রকে ধরে দেওয়ালে তার মাথা ঠুকে দেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তার ছেলের কানে এবং মাথায় আঘাত লেগেছে। প্রায়ই ওই শিক্ষক ক্লাসে বসে এই ধরনের ভিডিও দেখতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বাঁশ দিয়েও ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ছাত্র বাড়িতে গিয়ে নালিশ করলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ।
খাবার দিতে দেরি হওয়ায় বিয়ে ভেঙে দিয়ে চাচাতো বোনকে বিয়ে করলেন বর
ঝাঁসি গ্রামীণের পুলিশ সুপার গোপীনাথ সোনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ক্লাসে ঠিক কী ঘটেছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ক্লাসে বসে অশ্লীল ভিডিও দেখছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অবশ্য অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছে, এখনও তা জানা যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।